চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয়: রঙিন ফল রঙিন করে জীবন

রঙিন ফল রঙিন করে জীবন। কথাটি শুনতে দারুণ আর এর প্রায়োগিক দিকটাও উপকারী। যেমন ধরুন পাকা আম, পেঁপে, আপেল, কমলা প্রভৃতিতে চোখের জন্য উপকারী ভিটামিনের আধিক্য রয়েছে। চোখ ভালো রাখার সবচেয়ে উপকারী উপাদান ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায় কিছু সস্তা ও হাতের নাগালের ফলগুলোয়। রাতকানা, ছানিপড়া, কেরাটোম্যালাশিয়া কর্নিয়াল আলসার, চোখের মণিতে ঘা, স্পট, কর্নিয়ার রোগ প্রভৃতি রোগে চোখ স্বাস্থ্যসম্মত রাখার এক ভালো দাওয়াই নানা ধরনের ফল।

আম

মহৌষধ হিসেবেও রয়েছে আমের সুখ্যাতি। কাঁচা কিংবা পাকাÑউভয় প্রকার আমই মহৌষধ। বিশেষ করে চোখের যত্নে পাকা আম অন্যতম একটি সেরা ফল। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে পাকা আম। চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আম খান বেশি বেশি

আনারস

আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ আছে। আমাদের সবারই মোটামুটি জানা আছে যে, চোখের যত্নে বেশি প্রয়োজন ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’

পেঁপে

পেঁপে খান, বাড়ি থেকে বৈদ্য তাড়ান কথাটি শতভাগ সত্য। সর্বজনীন ফল পেঁপে। সারা বছর হাতের নাগালে থাকে এই ফল। পেঁপেতে রয়েছে চোখের জন্য উপকারী ‘এ’, ‘সি’ ও ‘ই’ ভিটামিন

গাজর

ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার গাজর। গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এটা প্রতিরোধ করে রাতকানা রোগ। ঝুঁকিমুক্ত করে অন্ধত্ব। বয়স বাড়ার সঙ্গে চোখের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। নিয়মিত গাজর খেলে এই ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়

বেল

অনেক গুণের অধিকারী বেল। বেলে শ্বেতসার, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, লৌহ প্রভৃতি রয়েছে। মধুর সঙ্গে বেলপাতার রস মিশিয়ে পান করলে চোখের জ্বালা-যন্ত্রণায় উপশম হয়। এমনকি ছানিও দূর হয়

কাঁঠাল

চোখের সুরক্ষায় কাঁঠাল একটি উপকারী ফল। আমিষ ও শর্করার পাশাপাশি এ ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’

কুল

কুলে রয়েছে নানা ধরনের খনিজ দ্রব্য। একই সঙ্গে চোখের উপকারী ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে

তরমুজ

ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’র চমৎকার উৎস তরমুজ। এতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যা চোখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। অন্ধত্ব প্রতিরোধে অনেক সাহায্যকরে তরমুজ

উপরের ফলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন কমলা, আঙ্গুর, লেবু ও বেরি জাতীয় ফল স্ট্রবেরি, ব্ল–বেরি প্রভৃতি খেতে পারেন চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য।