গ্রীষ্মকালই রসালো তরমুজের মৌসুম। গরমে শরীর সুস্থ রাখা ও পানীয়র অভাব পূরণে এর গুরুত্ব রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে তরমুজ খাওয়া প্রয়োজন। গরমে শরীর থেকে যে পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়, তার অধিকাংশ পূরণ করে তরমুজ। তাই অসহ্য গরমে তরমুজ খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। এর পুষ্টিগুণ জেনে নিতে পারেন।
রাতকানা প্রতিরোধ করে
তরমুজে বিদ্যমান আয়রন ও ক্যারোটিন রাতকানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
মস্তিষ্ক সচল রাখে
তরমুজে ভিটামিন ‘বি-৬’ রয়েছে, যা মস্তিষ্ক সচল রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমিয়ে ফেলে
কিডনি সুস্থ রাখে
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এটি শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার করে কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এটি রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমায়। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি মূত্রথলিও সুস্থ রাখে
পানিশূন্যতা দূর করে
তরমুজে শতকরা ৯২ ভাগ পানি থাকে। এজন্য গরমের ফলে ঘামের কারণে যে পানিশূন্যতা হয়, তা দূর করে। শরীরে পানির অভাব পূরণে অন্যান্য ফলের মধ্যে তরমুজই প্রথম সারির
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকর। এ কারণে এটি রক্ত জমাট বাঁধা, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
তরমুজের ভিটামিন ও খনিজ দ্রব্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
চোখ সুস্থ রাখে
গবেষকদের মতে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে তরমুজ। এতে থাকা ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখে। বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া রোধ করে
ত্বক ভালো রাখে
গরমে প্রায় প্রতিদিন তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন ‘এ’র চাহিদা পূরণ হয়। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকে। ভিটামিন ‘এ’ ত্বককে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে
ক্যানসার রোধ করে
গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে থাকা লাইসোপিন ও অন্যান্য যৌগ ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলটি নিয়মিত খেলে প্রোস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার ও ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে না।