শসার প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশিরভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। এর পুষ্টিগুণ দেখে নিন এবার:
পানির অভাব পূরণ করে শসা। এমনকি এ পানি দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে কাজ করে
স অনেক সময় দেহের ভেতর কিংবা বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন অনেকে। সঙ্গে থাকে জ্বালাপোড়া। এমন অবস্থায় শসা খান। আরাম পাবেন
নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথর গলে যায়
শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল রয়েছে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ দেহের নানা স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের সম্পর্ক রয়েছে
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয় শসা। কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক
রাখে শসা
ওজন কমাতে শসা আদর্শ টনিক
হজমে বড় ধরনের ভ‚মিকা রাখে
নিয়মিত শসা খান, দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখুন
মুখের জীবাণু ধ্বংস করে সজীব করে নিঃশ্বাস
শসায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম
সিলিকন ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে
সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন
শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা দূর হবে, চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করবে
মানবদেহের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে। শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
সতর্কতা
তিতা শসা খাওয়া বিপজ্জনক। তিতা শসা মানেই টক্সিক। তাই তিতা শসা খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। এর আধিক্যে কোষের ক্ষতি হতে পারে। এতে পটাশিয়ামের পরিমাণও বেশি, যা দেহের পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে তলপেটে ব্যথা, পেটের রোগ প্রভৃতি হতে পারে। তাই তিতা শসা এড়িয়ে চলতে হবে, আর খেতে হবে পরিমিতভাবে।