নিজস্ব প্রতিবেদক :তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে পেট্রোবাংলাকে চার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বা অনুদান দেয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে চাহিদার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
গতকাল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারির এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে গড়ে প্রতিদিন ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বছর ১২ এপ্রিল ১২ কেজি বোতলজাত এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৭৫ টাকা। সর্বশেষ ৩ মার্চ তার দাম বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৩৯১ টাকা।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সমুদ্রাঞ্চলে অবস্থিত ব্লকগুলো নিজেদের খনন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। অগভীর ও গভীর সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন কার্যক্রম উচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর, অত্যধিক ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পেট্রোবাংলার আওতাধীন দেশীয় অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের স্থলভাগে সক্ষমতা থাকলেও সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন বিশেষভাবে প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সে সক্ষমতা নেই।
ঢাকার সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, সুষ্ঠু ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের বড় বড় শহর তথা মেট্রোপলিটন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকায় ডিপিডিসির এক হাজার ২৮৭ কিলোমিটার ও ডেসকোর এক হাজার ৩৬৬ কিমি, বাবিউবো সিলেটে ৩৮ কিমি, নেসকো রাজশাহী ও রংপুরে ১১ কিমিসহ প্রায় দুই হাজার ৭০২ কিমি ভূগর্ভস্থ লাইন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।
সরকারি দলের হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পবিত্র আল কোরআন ও মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর জীবন ও দর্শনকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে গত অর্থবছরে (২০২০-২১) ৩৩৪ ঘণ্টা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়ে থাকে।