রুবাইয়াত রিক্তা:দুই মাস ধরে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৫৬০০-৫৭০০ পয়েন্টের মধ্যে অবস্থান করছে। গত বৃহস্পতিবার সূচক ৫৭০০ পয়েন্ট অতিক্রম করলেও এবারও সেখানে স্থির হতে পারেনি। গতকাল সূচকের উর্ধ্বমুখী যাত্রা শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা থাকতে পারেনি। গতকাল সকাল ১১টায় তেজিবাজারে সূচক ১৯ পয়েন্ট বাড়লেও শেষবেলায় নিচে নেমে এসেছে প্রায় ৫ পয়েন্ট। সূচক ঋণাত্মক হলেও লেনদেন ছিল ভালো অবস্থানে। এদিন লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১০৩ কোটি টাকার। গতকালের বাজারের ইতিবাচক দিক হলো,নদেন বেড়েছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা।
গতকাল লেনদেনে তেজিভাব বজায় রাখে আর্থিক খাত। অন্য খাতগুলো সেভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেনি। আর্থিক খাতের লংকাবাংলা ফিন্যান্স বেশিরভাগ দিনের মতো গতকালও লেনদেনের শীর্ষে ছিল। গতকাল এ খাতের ১৫টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে পাঁচটির, অপরিবর্তিত ছিল দুটির। গতকাল এ খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের। শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সায়। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড খাতের আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট এনআরবির দর দুই টাকা ১০ পয়সা বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। ফান্ডটির সর্বশেষ দর হয় ২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অপরদিকে দর কমার শীর্ষে ছিল আইপিডিসি। গতকাল শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৭০ পয়সা দর কমে সর্বশেষ ৫০ টাকা ২০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন খাতে মিশ্র অবস্থা থাকলেও লাল বাতি জ্বলেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। এ খাতের ১৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির দরপতন হয়েছে। এ খাতের শীর্ষ কোম্পানি যেমন: সামিট পাওয়ার, বারাকা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, ডেসকোর দরপতন হয়। তিতাস গ্যাসের দর কমেছে এক টাকা, ডরিন পাওয়ারের দুই টাকা ২০ পয়সা।
শেয়ারবাজারে ব্যবসা করে গত বছর বেশ কয়েকটি ব্যাংকই ভালো মুনাফা করেছে। মুনাফালাভী এ ব্যাংকগুলো ব্যালেন্স শিটে ভূমিকা রাখলেও সেখানে দাপট ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের। এটি ব্যাংকিং খাতের জন্য সুখবর।
২০১৭ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারি ব্যাংকগুলোও এগিয়ে আসতে পারে পুঁজিবাজারে। কারণ এখানে বিনিয়োগ অনেক নিরাপদ। লোকসানের ঝুঁকি থাকলেও পুঁজি হারানোর ঝুঁকি কম। তাছাড়া ব্যাংকের অলস অর্থ বিনিয়োগের উপযুক্ত তেমন জায়গাও নেই। সে কারণেই ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে আসতে পারে। গত বছর অনেক ব্যাংকই পুঁজিবাজারে তেমন বিনিয়োগ করতে পারেনি। এবার তারা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারে। এসব ব্যাংক বাজারে এলে বাড়বে লেনদেন। গতি বাড়বে বাজারের এবং আরও সমৃদ্ধ হবে পুঁজিবাজার।
চলতি বছর ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়তে পারে

Add Comment