নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত মার্চ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। চলতি এপ্রিলে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে দু-একটি লঘুচাপ হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যাও হতে পারে এ মাসে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এপ্রিলের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকালে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়।
চৈত্রের অর্ধেকের বেশি সময় চলে গেছে। তবে এ মাসের পরিচিত দাবদাহ তেমন অনুভূত হয়নি। দেশের দু-একটি জায়গায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে কিছু সময়ের জন্য। তবে মাসের বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে ছিল। বৃষ্টিও হয়েছে কয়েক দিন বিরতি দিয়ে। গত মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেট বিভাগে। মাসের সর্বোচ্চ ১৩ দিন এ বিভাগে বৃষ্টি ঝরেছে। এ বিভাগে রেকর্ড গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার। এ সময়ে এ বিভাগের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হার ১২০ মিলিমিটার। ঢাকা বিভাগে এ সময় বৃষ্টি হয়েছে ১০ দিন। রেকর্ড করা গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২৫ দশমিক ৩ মিলিমিটার। এ বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয় ৪৫ মিলিমিটার।
চলতি এপ্রিলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। এ মাসে দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের এবং এক থেকে দুই দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিলে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবার এ মাসেই দুই থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এপ্রিলের অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসের শেষ দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর কাছাকাছি উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি পর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। এর আগে হওয়ার আশঙ্কা কম। কয়েক দিন বৃষ্টি থাকার পর গতকাল তা কমে এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি আরও কমবে। সেইসঙ্গে বাড়তে পারে তাপমাত্রাও।
উমর ফারুক বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়বে। শুধু সিলেট অঞ্চলে কিছু বৃষ্টি হতে পারে। এরপর ১০ থেকে ১১ এপ্রিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।