নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ১৫টি জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এরকম আরেকবার বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’
এছাড়া প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শনিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিত ১৫ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশুখাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
দুর্যোগমন্ত্রী বলেন, ‘পুরো ১৫ জেলায় মানুষ পানিবন্দি নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে প্লাবিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তবে কেউ মারা যায়নি।’
বন্যাকবলিত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বন্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, সেই জায়গাগুলোকেও আমরা চিহ্নিত করব। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তারপরও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখি কোন কোন জায়গায় খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব।’
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনওÑযখন যেটা চাচ্ছে আমরা দিচ্ছি। তারপরও ঘাটতি থাকার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, বন্যাদুর্গত এলাকায় যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে; তা পর্যাপ্ত।’
এছাড়া টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের বন্যা সরেজমিন দেখতে রোববার (আজ) সেখানে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন মহিববুর রহমান।