ক্রীড়া প্রতিবেদক: বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার শরীরের একপাশ প্রায় অবশ হয়ে যায়। এরপর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ হয়েই ফেরেন তিনি। কিন্তু এবার চলে যেতেই হলো বাদল রায়কে। দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার রোববার মারা গেছেন। কিছুদিন আগে লিভার ক্যানসার ধরা পড়েছিল বাদলের। তবে লড়তে চেয়েছিলেন এই তারকা ফুটবলার, কিন্তু পারলেন না তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংগঠক বাদল রায় মারা গেছেন। গতকাল রোববার বিকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের এ কিংবদন্তি ফুটবলার। রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
গত ৫ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় বাদল রায়কে। এরপর ১১ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে। তারপর বাংলাদেশ মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফুটবলার সেখানেই মারা গেলেন।
আশির দশকে দেশের ফুটবল মাঠ কাঁপিয়েছেন বাদল রায়। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে খেলেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিংয়ে। জাতীয় দলেও তিনি দাপটে খেলে হয়েছিলেন অধিনায়ক। মোহামেডানের জার্সিতে খেলেন ১২ বছর। জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন পাঁচ বছর।
খেলা ছেড়ে সংগঠক হিসেবে মোহামেডানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করার পর টানা তিনবার সহসভাপতি নির্বাচিত হন বাদল রায়। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন বাদল রায়। এছাড়া ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেন তিনি।
বাদল রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শোকগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।