চলে গেলেন কূটনীতিক সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। গতকাল সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক এ কূটনীতিকের মৃত্যু হয় বলে আইএসপিআরের পরিচালক আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ সাংবাদিকদের জানান।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ কূটনীতিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন।

পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ সালে অবসরে যান পেশাদার এ কূটনীতিক। পরে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার তাকে কূটনৈতিক দায়িত্বে ফিরিয়ে এনে হাইকমিশনার করে দিল্লি পাঠায়। দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন। 

১৯৪৪ সালে সিলেটে জন্ম সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর। তিনি লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাতিজা ছিলেন। বড় ভাই এসএম আলী ছিলেন ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই বিশ্বের সামনে কূটনীতিবিদ হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মোয়াজ্জেম আলী ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে কর্মরত অবস্থায় বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে ভুটান, ইরান ও ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওয়ারশ, ওয়াশিংটন, জেদ্দার পাশাপাশি নয়াদিল্লি মিশনেও তিনি কাজ করেছেন।

২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেতে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে ইউনেস্কোর কাছে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস খসড়া প্রতিবেদন দিয়ে ভূমিকা রাখেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০