Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:41 pm

চলে গেলেন চাক বেরি

শোবিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতশিল্পী রক অ্যান্ড রোল কিংবদন্তি চাক বেরি মারা গেছেন।
গিটারে তার চারবারের (কর্ড) সূচনা আর দ্রুত লয়ের লিরিক পঞ্চাশের দশকে হয়ে উঠেছিল তারুণ্যের দ্রোহের প্রতীক।

দীর্ঘ সাত দশকের ক্যারিয়ারে চাক বেরি দিয়ে গেছেন ‘জনি বি গুড’ আর ‘রোল ওভার বিটোফেন’-এর মতো গান, যা ইংরেজি গানের শ্রোতাদের মনে থাকবে বহুদিন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার মিজৌরির বাড়িতে মৃত্যু হয় এই শিল্পীর। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

সেইন্ট চার্লস কাউন্টি পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে তাকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘণ্টাখানেক পর মারা যান তিনি।১৯২৬ সালের ১৮ অক্টোবর মিজৌরির সেইন্ট
লুইসে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে চার্লস অ্যাডওয়ার্ড অ্যান্ডারসন বেরির জন্ম।বলা হয়, চাক বেরি হলেন সেই শিল্পীদের একজন, যারা কৃষ্ণাঙ্গ জীবনের ছন্দ আর বিষাদকে সংগীতের মধ্য দিয়ে সব কিশোর-তরুণের লাইফস্টাইলে পরিণত করেছেন। কৈশোরেই স্কুলের কনসার্টে নিয়মিত বাজাতেন চাক বেরি। সেই থেকে শুরু।

চাক বেরির রেকর্ডিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৫৫ সালে। ‘মেবেলিন’ নামের ওই অ্যালবাম তাকে খ্যাতি এনে দেয়। পরের কয়েক বছরে তার গান কিশোর তরুণদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

গিটার বাদনে অভিনবত্ব ও প্রাণবন্ত পরিবেশনার মাধ্যমে তখনকার আমেরিকান সমাজের শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ ভেদরেখা মুছে দিতে পেরেছিলেন চাক বেরি।

একবার তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সেই গান করি যা তারা শুনতে চায়। যা তারা শুনতে এসেছে, তা যেন তারা পায়।’ সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে তাকে গ্র্যামিতে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে তার নাম যুক্ত হয় রক অ্যান্ড রোলের হল অব ফেইমে। চাক বেরির পরের প্রজন্মের বহু খ্যাতিমান শিল্পী তার গান গেয়েছেন। বিটলস আর রোলিং স্টোনসের মতো ব্যান্ড চাক বেরির গান পৌঁছে দিয়েছে তাদের সময়ের শ্রোতাদের কাছে।
জন লেনন একবার বলেছিলেন, ‘তুমি যদি রক অ্যান্ড রোলকে অন্য কোনো নামে ডাকতে চাও, তুমি একে চাক বেরি ডাকতে পারো।’