চসিকের রাজস্ব আদায়ে অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আয়ের প্রধান উৎস রাজস্ব খাত। তবে ব্যয়ের পরিধি বাড়লেও আনুপাতিকহারে রাজস্ব আয় বাড়েনি। বর্তমানে এ খাতের ওপর নির্ভর করে থাকা যায় না। কিন্তু এ অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে, যা এখনও কমেনি। তবে নতুন করে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে। অভিযোগ এলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

গতকাল সকালে আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবনের কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে রাজস্ব বিভাগে অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চসিকের আটটি রাজস্ব সার্কেলে তেমন জনবল সংকট নেই। তবে পেশাগত দক্ষতার সংকট রয়েছে। তাই ক্ষেত্রবিশেষে রাজস্ব আদায় অত্যন্ত নি¤œ। এজন্য রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা ও পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও পেশাগত দায়বদ্ধতা। এর ফলে চসিকের সক্ষমতা বাড়বে। অতীতে কোনো কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারী রাজস্ব দাতাকে উৎকোচ গ্রহণ করে অবৈধ ছাড় দেয়ার অভিযোগ ছিল, যা পরবর্তী সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু যারা অবৈধভাবে চসিকের রাজস্ব আদায়ের পরিধি সংকুচিত করেছে তারা প্রাপ্য শাস্তি পায়নি। কিন্তু এবার আমি তা হতে দেব না। একটি তিনতলা বাড়ি যে হারে রাজস্ব দিত বাড়িটি ৫ তলা হলেও আগের হারে রাজস্ব দিচ্ছে। এ বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারীর চোখে না পড়লে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা অবান্তর কিছু নয়।

অ্যাসেসারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা অ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে আইন বহির্ভূতভাবে অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করার ফলে যেসব করদাতা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের তালিকা তৈরি এবং সমাজের অসহায়, বিধবা ও অতি দরিদ্রদের কর দিতে চাপ না দেয়া এবং প্রতি মাসে রাজস্ব আদায়ের মাসিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সার্কেল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মেয়র। নগরীতে চসিকের যেসব জায়গা খালি পড়ে রয়েছে, তা চিহ্নিত করে আয়বর্ধক প্রকল্প নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি নগরীকে ক্লিন ও গ্রিন করতে চাই, সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এজন্য অর্থের প্রয়োজন। তাই রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়াতে হবে ও শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ও সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. শহিদুল আলম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এম. আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০