Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 6:57 pm

চসিকে মশক নিধনে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীতে মশক নিধন একটি প্রধান সেবামূলক কার্যক্রম। এতদিন যে পদ্ধতিতে ও ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল তাতে নানা ধরনের ত্রুটি ও অসংগতি ছিল। ব্যবহƒত ওষুধও অকার্যকর ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনের সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী আজ (গত বুধবার) থেকে নগরীতে মশক নিধনে মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হলো। এর আওতায় প্রতিদিন চারটি করে ওয়ার্ডে কাজ শেষ হবে। পরদিন আর চারটি ওয়ার্ডে কাজ চলবে। এভাবে ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ দিন করে মোট তিন দফায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। পদ্ধতিগত ও গুণগত পরিবর্তনে এই কার্যক্রম সফল হবে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে চসিক কর্তৃপক্ষ।

চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. এসরারুল হক, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নুরুল আমিন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু প্রমুখ।

মেয়র বলেন, মশা প্রজননের উৎস হলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এসব বারবার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়। নালা-নর্দমায় আবর্জনা ফেলা হয়। এসবের জন্য দায়ী অসচেতন নগরবাসী। তাদের এ দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য।

তিনি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরবাসীকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জমাট পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গুর লার্ভা ছড়ায়। তাই নিজের বাড়ির আঙিনায় যেখানে জমাট পানি আছেÑতা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।

তিনি বলেন, প্রয়াই দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবনে জমাট পানি যত্রতত্র পড়ে থাকে এবং এখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাই নির্মাণাধীন ভবনের মালিকরা জমাট পানি না সরালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে চসিকের উদ্যোগে বুধবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে অভিযানে লাভলেইন ও দামপাড়া সিডিএ অ্যাভিনিউ এলাকায় দুটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে জমানো পানি পাওয়ায় ভবন মালিকের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে এ অভিযান চলবে। অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তা করেন করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা।