প্রফেসর মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ: কবি সালেহ মুজাহিদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চাঁদকাব্য’ এসেছে এবারের বইমেলায়। ছোটবড় ৪৭টি কবিতা স্থান পেয়েছে এ বইয়ে। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৮০।
সালেহ মুজাহিদের কবিতার প্রধান আকর্ষণ কবিতার অঙ্গনে তার স্বচ্ছন্দ বিহার। কবিতায় শব্দ আসে নির্ঝরের স্বতঃস্ফূর্ত কলকলানির মতো। সে শব্দে মূর্ত হয়ে ওঠে নানা ছবি। কখনও ভালোবাসার কথা বলে। সে ভালোবাসা যেমন প্রতিদিনের মন দেওয়া-নেওয়ার কথা বলে, তেমনি স্পর্শ করে আত্মাকে, অনেকটা অজান্তে পরমাত্মাকে। আমার মনে হয়েছে, এটাই তার কবিতার প্রধান গুণ।
সুবিধাবঞ্চিত হতভাগ্যদের জীবনও উঠে এসেছে তার পঙ্ক্তিমালায়। উঠে এসেছে অ্যানা ফ্রাঙ্কের কথা। তাকে ভর করে প্যারিসে পথের পাশে বসে থাকা সিরিয়ার উদ্বাস্তু শিশুকিশোরের ছন্নছাড়া জীবনের কথা তুলে ধরেছেন কবি। কবির ব্যথিত অনুভূতি কেঁদে কেঁদে শীতার্ত মানুষের পাশে পায়চারি করে। যেমনটা দেখি তার ‘ফরিয়াদ’ কবিতায়
‘শীত না ক্ষুধা কে যে কারে করে দহন
সে বোধও যে গেছে আজকাল হারিয়ে’
তবে তার কবিতায় ভালোবাসার কথাই বেশি। কিন্তু ভালোবাসা তার কাব্যে একটা প্রিজমের মতো। সে ভালোবাসা যে কার বা কিসের উদ্দেশ্যে, তা বলা মুশকিল। আপাতদৃষ্টিতে রক্তমাংসের ভালোবাসা মনে হলেও তার বিচরণ আধ্যাত্মিক জগতে। সেখানে তুমি আমি’র অস্তিত্ব বিলীন হয়ে সবই তুমিতে হারিয়ে যায়।
‘হে আমার প্রেমাস্প আমায় তুমি পূর্ণ কর
স্থির কর ভালোবাসার এক আকাশ থেকে অন্য আকাশে
আমি তো তোমাতেই ফিরে ফিরে যাই’
কখনওবা সে ভালোবাসা মুখোশ খুলে বের হয়ে আসে
‘আমি আমরা সব মিশে যাই একাকার হয়ে
চলতে থাকি ভালোবাসার পথ বেয়ে একা একা
সফেদ কাফন, ঘের কাঁপানি, এহরাম
আপনায় আপনি হলাম দাফন’
কবির মাঝে আমি একটি নতুন ধারা লক্ষ করেছি। এটি আমাদের কবিতা অঙ্গনের আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে এই আশা। আমি চাঁদকাব্যের বহুল প্রচার কামনা করি। তার যাত্রাপথ শুভ হোক। সুন্দর হোক।
‘চাঁদকাব্য’ কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাবে প্রিয়মুখ প্রকাশনীর ২৫৮ নম্বর স্টলে।
সাবেক মহাপরিচালক
বাংলা একাডেমি
চাঁদকাব্য
প্রফেসর মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ: কবি সালেহ মুজাহিদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চাঁদকাব্য’ এসেছে এবারের বইমেলায়। ছোটবড় ৪৭টি কবিতা স্থান পেয়েছে এ বইয়ে। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৮০।
সালেহ মুজাহিদের কবিতার প্রধান আকর্ষণ কবিতার অঙ্গনে তার স্বচ্ছন্দ বিহার। কবিতায় শব্দ আসে নির্ঝরের স্বতঃস্ফূর্ত কলকলানির মতো। সে শব্দে মূর্ত হয়ে ওঠে নানা ছবি। কখনও ভালোবাসার কথা বলে। সে ভালোবাসা যেমন প্রতিদিনের মন দেওয়া-নেওয়ার কথা বলে, তেমনি স্পর্শ করে আত্মাকে, অনেকটা অজান্তে পরমাত্মাকে। আমার মনে হয়েছে, এটাই তার কবিতার প্রধান গুণ।
সুবিধাবঞ্চিত হতভাগ্যদের জীবনও উঠে এসেছে তার পঙ্ক্তিমালায়। উঠে এসেছে অ্যানা ফ্রাঙ্কের কথা। তাকে ভর করে প্যারিসে পথের পাশে বসে থাকা সিরিয়ার উদ্বাস্তু শিশুকিশোরের ছন্নছাড়া জীবনের কথা তুলে ধরেছেন কবি। কবির ব্যথিত অনুভূতি কেঁদে কেঁদে শীতার্ত মানুষের পাশে পায়চারি করে। যেমনটা দেখি তার ‘ফরিয়াদ’ কবিতায়
‘শীত না ক্ষুধা কে যে কারে করে দহন
সে বোধও যে গেছে আজকাল হারিয়ে’
তবে তার কবিতায় ভালোবাসার কথাই বেশি। কিন্তু ভালোবাসা তার কাব্যে একটা প্রিজমের মতো। সে ভালোবাসা যে কার বা কিসের উদ্দেশ্যে, তা বলা মুশকিল। আপাতদৃষ্টিতে রক্তমাংসের ভালোবাসা মনে হলেও তার বিচরণ আধ্যাত্মিক জগতে। সেখানে তুমি আমি’র অস্তিত্ব বিলীন হয়ে সবই তুমিতে হারিয়ে যায়।
‘হে আমার প্রেমাস্প আমায় তুমি পূর্ণ কর
স্থির কর ভালোবাসার এক আকাশ থেকে অন্য আকাশে
আমি তো তোমাতেই ফিরে ফিরে যাই’
কখনওবা সে ভালোবাসা মুখোশ খুলে বের হয়ে আসে
‘আমি আমরা সব মিশে যাই একাকার হয়ে
চলতে থাকি ভালোবাসার পথ বেয়ে একা একা
সফেদ কাফন, ঘের কাঁপানি, এহরাম
আপনায় আপনি হলাম দাফন’
কবির মাঝে আমি একটি নতুন ধারা লক্ষ করেছি। এটি আমাদের কবিতা অঙ্গনের আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে এই আশা। আমি চাঁদকাব্যের বহুল প্রচার কামনা করি। তার যাত্রাপথ শুভ হোক। সুন্দর হোক।
‘চাঁদকাব্য’ কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাবে প্রিয়মুখ প্রকাশনীর ২৫৮ নম্বর স্টলে।
সাবেক মহাপরিচালক
বাংলা একাডেমি