চাঁদপুরে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

প্রতিনিধি, চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর ইউনিয়নে যুবলীগকর্মী মোবারক হোসেন বাবু (৪৮)নিহতের ঘটনায় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার শাস্তির দাবিতে মোহনপুরে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ জনতা।

রোববার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় মোহনপুর কাজী বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও আরও সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হলেন- মুসা গাজী, জুয়েল কবিরাজ, সাবিয়া বেগম, আনোয়ার শেখ, মোশারফ মির্জা ও শাকিলা বেগম। তাদের সবার বাড়ি মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায়। যে এলাকায় গোলাগুলিতে নিহত হয় বাবু।

পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ বলেন, কাজী মিজানকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরো ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন নিহতের ভাই আমির হোসেন কালু। পরে অভিযান চালিয়ে কাজী মিজানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার মাথাভাঙা হাইস্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। পরে এই সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে আসার পথে মায়া চৌধুরীর প্রতিপক্ষরা হামলা করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন বাবু ও তার ছেলে ইমরান ব্যাপারীসহ আরো ৬ জন। পরে স্থানীয় নেতারা বাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাবুর ছেলে ইমরান (১৮) গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।এছাড়া গুলিবিদ্ধ জহির (২০) ও ইমন (১৮) নামে আরো দুজনকেও ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্যদিকে আহত জহির (৩২) ও বিলকিছ (৩৫) মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থক।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকির প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার সময় কাজী মিজানসহ তার বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করে। এতে যুবলীগকর্মী মোবারক নিহত হন।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের সঙ্গে একই দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও তার অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও গতকালের ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান। আটক হওয়ার আগে মুঠোফোনে তিনি দাবি করেন, এলাকার চেয়ারম্যান হয়ে কেন একজন মানুষকে হত্যা করবেন এবং এই ঘটনার সঙ্গে তার ও তার ভাইদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০