আম, চমচম আর কালাইয়ের রুটি এ তিনে বিখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আদি চমচমের সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। এরপর চলে আসে নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কথা। স্বাদের ভিন্নতায় মিষ্টিপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে এ দোকানটি।
জেলা শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় মিষ্টির প্রাপ্তিস্থান নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেট ও পুরাতন বাজারে তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে এর। পাকিস্তান আমল থেকেই মানুষের মন জয় করে আসছে নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের তৈরি চমচম, কালোজাম, রসকদম, প্যাড়া, সন্দেশ ও রসমালাই। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আকৃতির মিষ্টি বানিয়ে থাকেন এখানকার কারিগর। এখানকার তৈরি মিষ্টি স্বাদে অনন্য। অনেকে এর জন্য লালায়িত। বাইরে থেকে আসা অতিথিদের প্রথমে নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকেন স্থানীয়রা। অন্য জেলায় বেড়াতে গেলে সঙ্গে নিয়ে যান ঐতিহ্যবাহী নবাব ভাণ্ডারের মিষ্টি।
জানা যায়, পাকিস্তান আমলে নবাব আলী নামে একজন বিখ্যাত মিষ্টির কারিগর ছিলেন। ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাবার হাত ধরে এ পেশায় আসেন তার তিন ছেলে। নবাব আলী মৃত্যুর আগে পুরাতন বাজারের দোকানটি ‘আদি নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ নামে পরিচিত। এর স্বত্বাধিকারী নবাব আলীর ছোট ছেলে সাকাওয়াত হোসেন লালু। আশির দশকে আরও একটি দোকান তৈরি করেন তার বড় ছেলে সানাউল আলী সোনা, যেটি ‘নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ নামে পরিচিত। ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে ‘নিউ নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ নামে আরও একটি দোকান তৈরি করেন তার মেজো ছেলে শওকত হোসেন হিরা।
কথা হয় নিউ নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক শওকত হোসেন হিরার সঙ্গে। তিনি জানান, আমাদের আদি নিবাস ভারতের মালদহে। তবে আমাদের জš§ বাংলাদেশে। শুনেছি, আমার নানা হাজী সুলতান সর্দার ছিলেন ব্রিটিশ আমলের বিখ্যাত মিষ্টি কারিগর। আমার বাবাও ছিলেন একজন দক্ষ মিষ্টি কারিগর। বাবার হাত ধরে আমরা তিন ভাই এ পেশায় এসেছি।
ফারুক আহমেদ চৌধুরী