Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 2:13 pm

চাই সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: বার্নিকাট  

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয় বলে একমত হয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে আলোচনা করতে এসে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে গেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আলোচনার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আবদুল্লাহ।

নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষই একমত হয়েছি যে ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৫ জানুয়ারি মতো নির্বাচন আর নয়। আর যেন এ রকম না হয়, সে জন্যই সবার চেষ্টা থাকবে।’

তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি, হরতাল ও সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে, এমন ঘটনা আর ঘটবে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের চার মাসের মাথায় ১২ জুন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইতিহাস বাংলাদেশের রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেন, সবাইকে মাঠে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আলোচনায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। বড় দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে।

মার্শা বার্নিকাট ও ইউএসএআইডির একটি প্রতিনিধিদল বুধবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে নির্বাচন কমিশনে আসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর সোয়া দুটার দিকে বের হন মার্শা বার্নিকাট। এ সময় তিনি জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচনের দিন হলে হবে না। প্রার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে নিবন্ধন করতে পারেন, প্রচারণা চালাতে পারেন এবং ভোটের দিন সাধারণ মানুষ  যেন এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন যে, তার ভোটটি গণনা হবে। বাংলাদেশের অনেক ভালো ও কম ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। আমি সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলতে চাই, তিনি বলেছেন, আগামী নির্র্বাচন যেন সব ধরনের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে হয়, সেটাই তিনি চান।’