ইউএনবি : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হলেও সরকারের চলতি মেয়াদে তা সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সচিবালয়ে গতকাল অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ ‘আমার বিশ্বাস, নির্বাচনের আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ অবসরের বয়স বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অবসরের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা আমার ছিল, আমি প্রস্তাবও দিয়েছিলাম, হয়নি। আমার মনে হয় নির্বাচনের আগে অবসরের বয়স নিয়ে কোনো পরিবর্তন হবে না।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর নির্ধারিত আছে। আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ বছর থাকলেও ১৯৯১ সালের মাঝামাঝিতে তা বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। আর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে সরকার।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সুপারিশ করে।
নির্বাচনকালীন সরকারের সদস্যসংখ্যা কত হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা না থাকলেও ওই সরকারে নিজের থাকার সম্ভাবনার কথা জানান মুহিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, নিউইয়র্কে মামলা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ছে না: অর্থমন্ত্রী
