শেয়ার বিজ ডেস্ক: ৩৪ হাজার পয়েন্টের গণ্ডি টপকে শুক্রবার নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে ভারতের পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক সেনসেক্স। আবার ১০ হাজার ৫০০ টপকেছে নিফটিও। মিউচুয়াল ফান্ডে দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লগ্নি বৃদ্ধি বাজার চাঙা থাকার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর আনন্দবাজার।
২০১৬ সালে অর্থনীতি ভালো ছিল। নোট প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেছিল ওই বছরের শেষের দিকে। ছিল না জিএসটির ধাক্কা। কিন্তু ওই বছর সেনসেক্স উঠেছিল মাত্র ৫০৮ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। অথছ গত বছর ভারতের অর্থনীতির ওপর বড় ঝড় গেলেও সেনসেক্স সাত হাজার ৪৩০ পয়েন্টে পৌঁছায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির ভালো-মন্দে বাজারে নিঃসন্দেহে প্রভাব পড়ে। কিন্তু খারাপ খবরে হঠাৎ করে ধস নামে না। কিছুটা নামলেও ফের তা ঘুরে দাঁড়ায়। কারণ মূলত দুটি। এক. বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নির ওপর নির্ভরতা কমা। দুই. মিউচুয়াল ফান্ডসহ দেশীয় আর্থিক সংস্থাগুলোয় বিপুল বিনিয়োগ।
ভারতে ফান্ডে লগ্নির অঙ্ক প্রথম দশ লাখ কোটি রুপি ছুঁতে সময় লেগেছে ৫১ বছর, যেখানে পরের ১০ লাখ কোটি রুপি এসেছে তিন বছরে। ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত ফান্ডে লগ্নি ছিল ১০ লাখ কোটি রুপি। গত নভেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৭৯ লাখ রুপিতে। এ বিপুল অঙ্কের একটা বড় অংশ খাটে ইক্যুইটি ফান্ডে। সেই অর্থ বাজারে আসছে নিয়মিত। ব্যাংকে ও ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমা, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভালো রিটার্ন পেতে মানুষের উৎসাহ, শেয়ারবাজার, ফান্ড সম্পর্কে ‘ভয়’ কমা ইত্যাদি কারণে আগামীদিনেও ফান্ডে লগ্নিতে কমার সম্ভাবনা নেই। এসব কারণে বাজারও চাঙা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ফান্ডের ভরসায় বাজার ওঠা কতটা ঝুঁকিহীন, তা নিয়ে সন্দিহান স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ। অন্যদিকে মিরে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও স্বরূপ মহান্তি বলেন, ‘প্রাথমিক সমস্যা মেটার পরে জিএসটির সদর্থক প্রভাবও বাজারে পড়ছে।’