শেয়ার বিজ ডেস্ক: চাদের এক স্বর্ণখনিতে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ শ্রমিক। খবর: বিবিসি।
গত সোমবার চাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল দাউদ ইয়াইয়া ব্রাহিম জানান, সোনার জন্য সংঘাতে জড়ান শ্রমিকরা। গত ২৩ মে লিবিয়া সীমান্তের কাছে কৌরি বোগৌদিতে ঘটনার সূত্রপাত।
জেনারেল ব্রাহিম জানান, দুই ব্যক্তির মধ্যে তুচ্ছ তর্কাতর্কি থেকেই ভয়াবহ সংঘর্ষের শুরু। এরপর তা পুরো খনিতে ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকদের মধ্যে ওই সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী এনজামেনা থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে মধ্য সাহারার তিবেস্তি পর্বতমালায়। এ ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই অঞ্চলে স্বর্ণের খনিতে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাই সেখানকার সব স্বর্ণখনির কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চাদের যোগাযোগমন্ত্রী আব্দেরামান কৌলামাল্লা এক বিবৃতিতে বলেন, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ অঞ্চলে আইনের প্রয়োগ নেই বললে চলে।
এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধেও বলপ্রয়োগ ও হত্যার অভিযোগ উঠছে। এ অঞ্চলের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলিটারি কমান্ড রেসকিউ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে।
প্রায় ১০ বছর তিবেস্তি পর্বতমালায় স্বর্ণখনি পাওয়া যায়। তারপর চাদ ও প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে নাইজার, সুদান, লিবিয়া ও মৌরিতানিয়া থেকে সেখানে অনেক খনি শ্রমিকের আগমন ঘটে। এর পর থেকে শ্রমিকদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে এবং প্রায়ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ইয়াইয়া ব্রাহিম জানান, এবার মৌরিতানিয়া ও লিবিয়ার শ্রমিকরা রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। চাদের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মহামাত নুর ইবেদু
জানান, লড়াই শুরু হওয়ার পর সরকার সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছিল, তারাই শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে।