Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:47 am

চাপ নেই, থাকলে বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে আসতেন:তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাপ সৃষ্টি করে কাউকে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না বলে দাবি করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, চাপ দিলে বিএনপির অনেক বড় নেতাই নির্বাচনে আসতেন।

সচিবালয়ে গতকাল বুধবার একটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বুধবার নতুন জোট করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই জোটে বিএনপির সাবেক নেতারাও রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে তাদের নির্বাচনে আনা হচ্ছে কি না হাছান মাহমুদকে এই প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরও অনেক নেতা চলে আসত। আমরা কাউকে চাপ সৃষ্টি করছি না।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট হবে। আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেও সরকার পতনের আন্দোলনে থাকা বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অটল রয়েছে।

এর মধ্যেই বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বুধবার ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামের জোট গড়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সহযাত্রী হতে চায় না বলে অনেকে তাদের জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপির এ অপরাধনীতির সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করে, তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সহযাত্রী হতে চায় না বিধায় বা এ জ্বালাও-পোড়াওয়ের বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে সে জন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য তারা বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে বলে আমি মনে করি।’

টাকার বিনিময়ে আগুন দেয়া এবং তার ভিডিও ফুটেজ বিএনপি নেতাদের কাছে পাঠানো হচ্ছেÑপুলিশের এমন দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে, প্রত্যেকেই বিএনপির নেতা। একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছে সেখানে। এটি কী জঘন্য, ন্যক্কারজনক, ঘৃণ্য যে গাড়িতে আগুন দিলে, যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেয়া হয়! আবার সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে সেটি লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে, তারপর এখানে ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ? এগুলো তো জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাজ। জঙ্গি সংগঠনও তো এ রকম কাজ করে না। তাদের (বিএনপি) রাজনৈতিক দল বলা হয় বাংলাদেশে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে। এখন অবশ্য বলে না আর।’

তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট এই জবাববন্দিগুলো থেকে, কারা এগুলো করছে। রিজভী সাহেব অন্তরালে বসে বসে এগুলোর নির্দেশ দিচ্ছেন তাদের দলের পক্ষ থেকে।’

এই অপরাধনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।