নিজস্ব প্রতিবেদক: চামড়া প্রক্রিয়াকরণের সময় মাত্রাতিরিক্ত (লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ মানদণ্ডের বেশি) ক্রোমিয়াম ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট ট্যানারিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ক্রোমিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ট্যানারিগুলোকে সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে ক্রোমিয়ামের মাত্রা এলডব্লিউজি মানদণ্ড অর্জনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ট্যানারিগুলো বন্ধেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চামড়া শিল্পনগরী, ঢাকা (চতুর্থ সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের সিইটিপিসহ সার্বিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সভায় বক্তব্য রাখেন।
সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে জানানো হয়, গত ফেব্রুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী সাভারে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীতে চলমান ট্যানারিগুলোর মধ্যে ১৩০টি ট্যানারির সাতটি যথাযথভাবে ক্রোমিয়াম নিঃসরণ করছে এবং ৯টি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। এ সময় অবশিষ্ট ট্যানারিগুলোকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এলডব্লিউজির শর্তগুলো পূরণে চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি পরিচালনায় গঠিত কোম্পানির বোর্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা এলডব্লিউজি সনদ অর্জনের পথে অনেক দূরে এগিয়েছি। অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুত সম্পাদন করতে হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, চামড়া শিল্পনগরী সঠিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে কোম্পানির বোর্ডকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ ট্যানারি পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
সভায় হাজারীবাগ চামড়ড়া শিল্পনগরীতে ট্যানারি মালিকদের প্লটগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং রাজউকের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সাভারে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীর বিদ্যমান সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের প্রস্তাবনাগুলো কোম্পানির বোর্ড থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ে ১৮ মার্চের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলোর আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক দেবাশীষ চক্রবর্তী, বুয়েটের ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, ড. মো. আবদুল জলিল, সত্যেন্দ্রনাথ পাল, প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার জিতেন্দ্রনাথ পাল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।