নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী খালিদ বটল নাজিমের এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ইরাকের শিল্পমন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চামড়া, বস্ত্র ও ওষুধ খাতে একযোগে কাজ করতে চাই।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইরাকে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৈধকরণ এবং বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ইরাকের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে ইরাক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিদ্যমান। কর অবকাশ সুবিধা, বিভিন্ন খাতে হ্রাসকৃত কর, রপ্তানি প্রণোদনা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ইরাকের বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। একইভাবে বাংলাদেশে উৎপাদিত গার্মেন্টস পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত দ্রব্যাদি এবং ওষুধ আমদানি করে ইরাক লাভবান হতে পারে।
উল্লেখ্য, ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী ৪ দিনের সফরে ৩০ মে বাংলাদেশে পৌঁছান। আগামীকাল ২ জুন পর্যন্ত তিনি সাভারের ট্যানারি পল্লি, টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানাসহ বেশ কিছু স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।
এ আলোচনায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ইরাকের পরিকল্পনা উপমন্ত্রী আহমেদ আব্দুল জব্বার আলী আল করিম, বাংলাদেশে ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।