নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কারখানা নির্মাণসহ উৎপাদন কার্যক্রম শুরুতে ব্যর্থ হওয়ায় সাভার চামড়া শিল্পনগরীর ১১ প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা প্লট মালিকদের অনুকূলে শিগগিরই চিঠি ইস্যু করা হবে।
গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
শিল্প সচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন প্রধান অতিথি ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি নির্মাণ শেষ হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অংশীজনরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে। সভায় নভেম্বরের মধ্যে চলতি অর্থবছরের জন্য বিসিকের সব দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরের জন্য যাবতীয় দরপত্র প্রক্রিয়া জুন ২০২০-এর মধ্যে সম্পন্নের পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতানুগতিক মানসিকতা পরিহার করে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য চাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করছেন। এটি বিবেচনায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে সবাইকে আরও উদ্যমী হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন কোনো সমস্যা নয়। গুণগত মান বজায় রেখে স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ খরচ করলে সরকার প্রয়োজনে আরও অর্থ বরাদ্দ দেবে। সরকার কর্মচারীদের প্রতি পুলিশিং করতে চায় না উল্লেখ করে তিনি জাতির প্রতি দায়বোধ ও দেশপ্রেম থেকে অর্পিত দায়িত্ব সুচারুভাবে সম্পাদনের আহ্বান জানান।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়ে গুণগত মান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে হবে। ছোটখাট কারণ দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব করার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। তিনি বিসিকসহ বিভিন্ন সংস্থার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো আকস্মিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে শিল্প সচিবকে পরামর্শ দেন।
তিনি বিসিকের খালি প্লট প্রকৃত উদ্যোক্তাদের মাঝে দ্রুত বরাদ্দের পাশাপাশি বিসিআইসি’র বাফার গুদামগুলোর প্রকৃত মজুত পরিস্থিতি নিরীক্ষার তাগিদ দেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের হেরফের পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেন।
সভায় শিল্প সচিব বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করতে হবে। যেসব কর্মকর্তা কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ সময় চাষি পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত বিসিআইসির বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়। গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণের স্বার্থে একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক নির্মাণ চুক্তি পরিহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।