নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত লবণ মজুত রয়েছে জানিয়ে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিসিক।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে কারখানা চালু রেখে লবণ প্রক্রিয়াজাত করে ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখতে লবণ মিল মালিকদের দাপ্তরিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ডিলার/পাইকারি বিক্রেতা পর্যায়ে পর্যাপ্ত লবণ মজুত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিসিক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলাভিত্তিক ডিলার ও পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করেছে। এটি প্রণয়ন সম্পন্ন হলে বিভিন্ন এতিমখানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তালিকা সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক লবণ সরবরাহ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করতে লবণ জোনগুলোতে অবস্থিত বিসিক কার্যালয়, বিসিকের আঞ্চলিক কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ে পৃথক মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সব কমিটি মাঠপর্যায়ে লবণের মজুত, চলাচল ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্যাদি নিয়মিত সংগ্রহ ও মনিটরিং করছে।
বিসিক জানিয়েছে, বর্তমানে লবণ মাঠে ১০ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন এবং লবণ মিলগুলোতে এক লাখ ৮০ হাজার টনসহ দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণের মোট মজুতের পরিমাণ ১২ লাখ ৭৩ হাজার টন। এছাড়া, দেশের সব জেলায় অবস্থিত ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহার সময় দেশব্যাপী মোট লবণের চাহিদা কম-বেশি এক লাখ টন। বর্তমান মজুত দিয়েই ঈদুল আজহাসহ আগামী সাত থেকে আট মাসের লবণের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, অগামী নভেম্বর থেকে লবণ উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হবে। ফলে এ বছর লবণের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে বলে বিসিক জানিয়েছে।