Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 2:56 am

চার কোম্পানির ঋণমান অবস্থান নির্ণয়



নিজস্ব প্রতিবেদক : চার কোম্পানির ঋণমান অবস্থান নির্ণয় করেছে বিভিন্ন ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি। এর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের খাতের ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড ও ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেড এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। এছাড়া এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এ ওয়ান’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৭৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ১৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ১৯ পয়সা।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে তিন টকা ৪৩ পয়সা। এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭২ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৪০ পয়সা ও ৭০ টাকা ৯৫ পয়সা।

কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৪৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৮৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক শূন্য এক শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে সাত দশমিক ৬৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ছয় দশমিক ১৮।

ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেড: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এ৩’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংকঋণ অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৬০ শতাংশ বা দুই টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৬৩৩টি শেয়ার মোট ৭২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৯৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৬ টাকা থেকে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬৬ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬২ পয়সা ও ১২ টাকা ৫৩ পয়সা।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২৯ দশমিক শূন্য চার এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৭ দশমিক শূন্য দুই।

শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এএ ওয়ান’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ অবস্থা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৮ শতাংশ নগদ ও দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৩২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৮৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ২৩ পয়সা।

এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এপেক্স ট্যানারি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ২১ পয়সা। আলোচিত সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ লোকসান হয়েছে ১৬ টাকা ১২ পয়সা।

কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩৫ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।