চার কোম্পানির ঋণমান নির্ণয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, আরগন ডেনিমস লিমিটেড ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে যথাক্রমে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং) ও ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আলফারেটিং।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৯ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আলফারেটিং।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৯ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৯ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।

আরগন ডেনিমস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ছয় পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৯৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ১৯ পয়সা।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটি দাবি পরিশোধের সক্ষমতায় রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৯ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ছয় পয়সা। এর আগে কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৮৮ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫৬ পয়সা। ওই সময় মুনাফা হয়েছে সাত কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০