নিজস্ব প্রতিবেদক : এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, এপেক্স ফুডস লিমিটেড ও হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে যথাক্রমে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল) ও ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।
কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৫ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির চার কোটি ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৬৬ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং বাকি ছয় দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
এসিআই লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।
কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার এক কোটি ৪০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির চার কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং বাকি ২৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
এপেক্স ফুডস লিমিটেড: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এ২’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের অবস্থান ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।
কোম্পানিটি ১৯৮১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫১ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির ৫৭ লাখ দুই হাজার ৪০০টি শেয়ার রয়েছে।
মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং বাকি ৫৬ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেড: কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এএ৩’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের অবস্থান ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৬৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানির ৯ কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৩১২টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং বাকি ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।