নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড: আগামী ২৯ মার্চ বেলা ৩টায় পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ২২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৭ পয়সা।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: আগামী ৩১ মার্চ বেলা ৩টায় পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
বিমা খাতে এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে আসে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি ছয় লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৪১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ৯৫ পয়সা। ওই সময় মোট মুনাফা করে ছয় কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড: আগামী ২৫ মার্চ পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২২ মার্চ পর্ষদ সভার ঘোষণা দেওয়া হয়। অনিবার্য কারণবশত ২২ মার্চের পরিবর্তে ২৫ মার্চ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসম্বের সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় যথাক্রমে চার টাকা ৮৪ পয়সা ও ২৪ টাকা ৮০ পয়সা ছিল।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড: আগামী ২৪ মার্চ বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ দুই হাজার ৩০০টি।
