নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস লিমিটেড, বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড ও ওমেরা গ্যাস ওয়ান লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। কোম্পানিটি এলপিজি বিক্রির উদ্দেশ্যে এলপিজি (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করবে এবং কোম্পানির নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অয়েল বিক্রি করবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার এলপিজি বিক্রির বিপরীতে কোম্পানিটি ৫০ পয়সা রয়ালিটি পাবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৫ টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। আর ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ৩৭৯ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১১৩ টাকা ২০ পয়সা। মুনাফা হয়েছিল ৩৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ১০৮টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৩২ শতাংশ বা ছয় টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯৯ টাকা ৩০ পয়সা। ওইদিন দ্ইু লাখ ৭৬ হাজার ৮৮২টি শেয়ার মোট ৭১৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১৯ টাকা থেকে ২০৪ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৬৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে সাত দশমিক ৫৮।
এদিকে চলতি হিসাববছরের ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) প্রকাশ করেছে কোম্পানি। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে পাঁচ টাকা ৯৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল পাঁচ টাকা ৯১ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫৪ টাকা দুই পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৯-মার্চ ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ১১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৫ টাকা ১৬ পয়সা।