নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে লেনদেন বাড়লেও সূচকের পতন হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ২৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ২৭ শতাংশ। গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় বিমা খাতে। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ১১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ খাতের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৩৮টির বা ৯১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ হিসেবে শেয়ারদর বাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় অর্ধেক এই খাতের। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ খাতে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের বা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ২ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এখাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র দুটির বা ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বস্ত্র খাতের লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি পাঁচ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ খাতের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র ১৪টির বা ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বাজারে টেলিযোগাযোগ, সেবা ও অবকাঠামো, ভ্রমণ ও অবকাশ, চামড়া শিল্প, সিরামিক, কাগজ ও মুদ্রণশিল্প এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত শতভাগ নেতিবাচক অবস্থায় ছিল। এই খাতগুলোর কোনো প্রতিষ্ঠান দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসেনি। গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএইসএক্স আগের দিনের চেয়ে এক পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৬২ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৬৩ এবং বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক দুই হাজার ১০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৬০১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৬৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের। দাম কমেছে ৯৫টির এবং ১৬৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্য সূচক সিএএসপিআই সূচক ৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেয়া ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৩টির। দাম কমেছে ৬১টি প্রতিষ্ঠানের এবং ৯০টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
