নিজস্ব প্রতিবেদক:মার্কিন ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে কৃষি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও মোটরগাড়ি খাতে বিনিয়োগ করতে চান বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করতে চান জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চান। কৃষি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও মোটরগাড়ি খাতে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন ব্যবসাটা ব্যর্থ হয়েছে, আপনারা বলেন? এ দেশে বিদেশি বিনিয়োগ, যে কোনো খাতেই আসুক না কেন, কোনটা ব্যর্থ হয়েছে যে টাকা নিয়ে খালি পকেটে তারা চলে গেছেন?
‘আমি বারবার বলেছি, বাংলাদেশ নজিরবিহীন সুযোগের দেশ। এখানে বিনিয়োগ করে কখনও লোকসান করবেন না। লোকসানের কোনো সুযোগ নেই। এখন যদি
বিনিয়োগ বা ব্যবসা না করে টাকা পকেটে নিয়ে ঘোরেন, সেটা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু এটা ব্যবসায়ের জায়গা’, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যারা এখানে দেখা করতে এসেছেন, তারা বিভিন্ন শিল্প ও বিনিয়োগ খাত থেকে এসেছেন। তাদের কেউ ইলেকট্রনিকস, কেউ বিদ্যুৎ খাত এবং কেউ বিমা খাতে কাজ করেন। তারা সবাই চাচ্ছেন, বাংলাদেশে কী করে তাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করবেন। তাদের আমরা সেই সুযোগের কথা বলেছি। এখানে অনেক সুযোগ আছে।
মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা ১২ বছর ট্যাক্স হলিডে চেয়েছেনÑএমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এভাবে আইন না করে দিয়ে একেক খাতের জন্য একেক রকম ট্যাক্স হলিডে…। যেটা যেটা প্রয়োজন, চাহিদাটা আগে তুলে ধরেছি। মেইড ইন বাংলাদেশÑএই ধারণাটা তারা যদি সম্প্রসারিত করেন, তাহলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে, যারা বিনিয়োগ করবেন, তাদেরও ভালো হবে। এই ধারণাটার মধ্য দিয়ে আমরা চাই, এ দেশে দ্রুততার সঙ্গে কর্মসংস্থান খাতে উন্নয়ন করতে।
দেশে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করি, তখন কত ছিল মূল্যস্ফীতি, ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে একবার আমাদের ৯ শতাংশ হয়েছে। সেখান থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হচ্ছে। এই দুরবস্থার মধ্যেও মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। দাম তো বাড়ছে? কারণ যুদ্ধ যে শুরু হয়েছে, সেটা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কতদিন আপনি অর্থনীতি হিসাব মতো, সময়মতো চালাবেন। তারপরও অনেক ভালো চলছে। সবাই বলে বাংলাদেশ সবার থেকে ভালো চলছে। আর আপনারা খারাপটা কামনা করেন কেন? ভালো কামনা করেন।