নিজস্ব প্রতিবেদক : শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। কনকনে শীতে জবুথবু প্রায় সারাদেশের মানুষ। এরই মধ্যে চার জেলায় বইতে শুরু করেছে শৈত্যপ্রবাহ। এটি আরও কয়েক জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। ১৯ অঞ্চলের তাপমাত্রা নেমে গেছে ১২ ডিগ্রির নিচে। এদিকে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা এতদিন না থাকলেও হুট করে তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমে গেছে। তাতে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। গতকাল দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমার পূর্বাভাস জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলিতে এবং চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৬, যা আগের দিন ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকার তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৯, যা আগের দিন ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি। এদিকে ১২ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে থাকা অঞ্চলগুলোর মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮, দিনাজপুরে ১০, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৫, রাজশাহীর বদলগাছিতে ১০ দশমিক ৭, যশোর, সীতাকুণ্ড ও মাদারীপুরে ১১, খেপুপাড়া, কুমারখালী ও সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ৩, বগুড়ায় ১১ দশমিক ৪, বরিশালে ১১ দশমিক ৫, টাঙ্গাইলে ১১ দশমিক ৮, তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৯, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুরে ১১ দশমিক ২ এবং কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকে রাজধানী কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাটতে শুরু করেছে কুয়াশার আবরণ। দেশের অন্য এলাকার অবস্থাও একই, যা এই মৌসুমে দেশের প্রায় এলাকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, শীতের এই তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে ঘন কুয়াশা খুব একটা কমবে না। আগামী তিন দিন কুয়াশা এমন থাকতে পারে। এরপর আবার তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির শঙ্কা আছে। এতে শীত আবার বেড়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘœ ঘটতে পারে।
কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।