নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা চার কার্যদিবস সূচক পতনের পর গতকাল প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। একই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া অর্ধেকের বেশি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগের নতুন অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের দিনসহ চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে টানা দরপতন হয়। এতে ডিএসই’র প্রধান সূচক কমে ১২৩ পয়েন্ট।
গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের ৪০ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ৪০ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক বিবেচনা করলে গতকাল সবচেয়ে ভালো গেছে বস্ত্র খাতের। এই খাতের ৫৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির, দর কমেছে ১৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ছয়টির দর।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে চাঙা ছিল প্রকৌশল খাতও। এই খাতে দর বাড়ে ২৬টির, দর কমে ১০টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দর। ব্যাংক, খাদ্য, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আর্থিক খাতে ছিল মিশ্র প্রবণতা। অন্যদিকে সূচক বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। সূচক যতটা বেড়েছে তার অর্ধেকের বেশি ৮ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বাড়িয়েছে এই কোম্পানিটি। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে।
আরএকে সিরামিকসের দর ১০ শতাংশ বাড়ায় সূচকে ৫ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট যোগ হয়। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে, দর বাড়ে ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট, ইউনিক হোটেল ২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট, আইসিবি ১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট, আইপিডিসি ১ দশমিক ০৭ পয়েন্ট, শাইনপুকুর সিরামিকস শূন্য দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, ব্যাংক এশিয়া ও জিপিএইচ ইস্পাত শূন্য দশমিক ৮৪ পয়েন্ট করে সূচক বাড়িয়েছে।
ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৭৪ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩০১ দশমিক ৯১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৫টির বা ৪৫ দশমিক ৮১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে। দর কমেছে ১৬১টির বা ৪২ দশমিক ১৫ শতাংশের এবং ৪৬টির বা ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৭২ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৩১টির, দর কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দর। সিএসইতে ৪২ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে এদিন।