Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 12:41 pm

চার ভারতীয় নাগরিকসহ পাঁচ চোরাকারবারি আটক

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: অবৈধভাবে বিপুল ভারতীয় কাপড় ও হুইস্কি নিয়ে আসা চার ভারতীয় নাগরিকসহ পাঁচ চোরাকারবারিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সোপর্দ করা হয়েছে পুলিশে। গতকাল বুধবার র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে জেলার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন এলাকা থেকে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করেন।

আটককৃতরা হলেন ভারতের কলকাতা রাজ্যের নারকেলডাঙ্গার ডা. এমএন চ্যাটার্জি সরণী এলাকার আমানত হুসাইন (৫২) ও একই এলাকার মো. আদিল (২৫), নারকেলডাঙ্গা উত্তর রোডের আকিল আহমেদ (৪৫), কেশব চন্দ্র সেন রোডের মো. তৌসিফ আনসারী (২৮) এবং বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. স্বপন (৩০)।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে আখাউড়া উপজেলার ধরখার এলাকায় তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে ব্যাপক তল্লাশি চালায় র‌্যাবের আভিযানিক দল। সন্দেহভাজন একটি হায়েস গাড়ি আটকে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে গাড়ি থেকে পাঁচ হাজার ৫০০টি ভারতীয় অন্তর্বাস, ১২০টি ভারতীয় থ্রি-পিস, চার বোতল হুইস্কি, দুই বোতল মদ, ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহƒত গাড়িটিও জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই ভারত থেকে বিভিন্ন কৌশলে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় থ্রি-পিস, অন্তর্বাস, হুইস্কি ও বিয়ারজাতীয় মাদকদ্রব্য দেশের অভ্যন্তরে এনে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে স্বীকার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮’ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণশেষে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় এসব পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।