চার ম্যাচ পর হাসল সিলেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক: একের পর এক ম্যাচ হেরে রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় পড়েছিল সিলেট থান্ডার। সেখান থেকে বের হতে দাপুটে একটা জয় খুব দরকার ছিল দলটির। শেষ পর্যন্ত আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনাথন চার্লসের বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করে কাক্সিক্ষত সে লক্ষ্য গতকালই পূরণ হয়েছে হার্সেল গিবসের শিষ্যদের। এর ফলে তারা হাসল চার ম্যাচ পর।

গতকাল ফ্লেচার উপহার দেন চলতি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে জনাথন চার্লস ফের ঝড় তোলেন। সেঞ্চুরির আশা তিনিও জাগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ১০ রানের আক্ষেপ থেকে যায় তার। তারপরও সিলেট পেয়ে যায় ৫ উইকেটে ২৩২ রানের পাহাড়সম স্কোর। পরে বল হাতে ১৮.৩ ওভারে ১৫২ রানেই খুলনা টাইগার্সকে গুটিয়ে দেয় চায়ের শহরের দলটি। এর ফলে ৮০ রানে জিতে উল্লাসে মাতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা।

এবারের বিপিএলে টানা তিন ম্যাচ জিতে উড়ছিল খুলনা। কিন্তু গতকাল শুরু থেকেই চিংড়ির শহরের দলটির ব্যাট হাতে বড় পরীক্ষায় ফেলে দেন চার্লস-ফ্লেচার। দুই ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাটে দ্রুত এগোয় সিলেট। সে পথ ধরে চার্লস পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ২৫ বলে। আর ফ্লেচার ২৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে। তাদের জুটি তিন অঙ্ক স্পর্শ করে ৫২ বলে। জুটির পরের ৫০ আসে ১৭ বলে। শেষ পর্যন্ত এ জুটি থামে শহিদুলের বলে চার্লস এলবিডব্লিউ হলে। তার আগে তাদের জুটি থেকে আসে ৭০ বলে ১৫০ রান করে। ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে ১১ চার ও পাঁচ ছয়ে ফিরেন ৯০ রান করে।

চার্লস ফিরলেও ঠিকই এবারের বিপিএলে প্রথম ব্যাটসম্যাস হিসেবে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফ্লেচার। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়া ফ্লেচার অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। তার ৫৭ বলের ইনিংসটি গড়া পাঁচ ছয় ও ১১ চারে।

খুলনার সামনে বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়ে শুরুতেই মনির হোসেনের হাত ধরে সাফল্য পায় সিলেট। রহমানউল্লাহ গুরবাজ দ্রুতই ফিরে যান সাজঘরে। গতকাল বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নামা সাইফ হাসানও যেতে পারেননি বেশিদূর। দুই চারে ২০ রান করে ফিরেন তিনি। ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলা রাইলি রুশো এগিয়ে নেন খুলনাকে। তবে ৫০ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি তিনি। নাভিন-উল-হকের ফুলটস বলে ধরা পড়েন সীমানায়। মুশফিকুর রহিম দলের বিপদে পরেননি হাল ধরতে। বেশিক্ষণ টিকেননি শামসুর রহমানও। শেষের দিকে ২০ বলে ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ব্যবধান কিছুটা কমান ফ্রাইলিঙ্ক। চোটের জন্য ব্যাটিংয়ে নামেননি খুলনার শফিউল ইসলাম।

৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন ক্রিসমার সান্তোকি। দুটি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও মনির। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ফ্লেচার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ২৩২/৫ (ফ্লেচার ১০৩*, মজিদ ২, চার্লস ৯০, মিঠুন ৩, মোসাদ্দেক ১১, নাজমুল মিলন ১১, সোহাগ ০; ফ্রাইলিঙ্ক ৪-০-৩৭-২, আমির ৪-০-৪৫-০, শফিউল ৪-০-৪৪-১, শহিদুল ৪-০-৪৮-১, রবিউল ৩-০-৪৪-১, মিরাজ ১-০-১০-০)

খুলনা টাইগার্স: ১৮.৩ ওভারে ১৫২ (রহমানউল্লাহ ০, সাইফ ২০, রুশো ৫২, মুশফিক ১২, শামসুর ৭, ফ্রাইলিঙ্ক ৪৪, মিরাজ ৪, শহিদুল ২, আমির ৪, রবিউল ০, শফিউল আহত অনুপস্থিত; মনির ৩-০-৩১-২, সান্তোকি ৪-০-৩৭-৩, সোহাগ ৪-০-৩৫-০, মোসাদ্দেক ১-০-৮-০, ইবাদত ৩.৩-০-১৭-২, নাভিন ৩-০-২১-১)

ফল: সিলেট থান্ডার ৮০ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা: আন্দ্রে ফ্লেচার

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০