সম্প্রতি দেশব্যাপী ‘সেফ ইন্টারনেট আউটরিচ প্রোগ্রাম’-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ।
‘বি স্মার্ট, ইউজ হার্ট’ শীর্ষক এ উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেডার, গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান, গ্রামীণফোনের সিসিএও মাহমুদ হোসেন ও টেলিনর গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড চাইল্ড অনলাইন সেফটি স্পেশালিস্ট ওলা য়ো তান্দ্রে।
১১ থেকে ১৬ বছরের চার লাখ শিশু-কিশোরের ক্ষমতায়ন ও ৫০ হাজার অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কীভাবে তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে অবহিত করতে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলোয় প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটাল শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এছাড়া চাইল্ড হেল্পলাইন হটলাইনে (১০৯৮) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি ইস্যুস’। এখানে কল করে কিশোর ও তরুণরা এ-সম্পর্কিত উপদেশ ও পরামর্শসহ অন্য সহায়তা পাবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তরুণ গ্রাহকদের জন্য সুরক্ষিত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। ইন্টারনেট হলো জ্ঞান অর্জন, যোগাযোগ ও বিনোদনের মূল উৎস। সবারই এক্ষেত্রে সুরক্ষিত থাকার অধিকার আছে। আমরা এই চাইল্ড অনলাইন সেফটি উদ্যোগটি নিয়ে আরও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেন আমাদের সন্তানেরা ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা পায়।’
‘ডিজিটাল সেবার সুবিধা পাওয়া ও অনলাইনে সুরক্ষিত থাকার অধিকার রয়েছে সব শিশুর। টেলিনর গ্রুপ বিশ্বাস করে একটি সহায়ক পরিবেশ ডিজিটাল ঝুঁকি হ্রাস ও শিশুদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। আর এজন্যই গ্রামীণফোনের এই উদ্যোগের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা বিনিয়োগ করছি,’ বলেছেন টেলিনর গ্রুপের হেড অব সাসটেইনেবিলিটি মাই ওল্ডগার্ড।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ইন্টারনেটে সুরক্ষা নিশ্চিত করা। জাতি হিসেবে আমাদের তরুণদের কাছে প্রযুক্তির সঠিক উপাদান তুলে দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব, যেন তরুণরা বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটির মতো উদ্যোগ শুধু সচেতনতা বৃদ্ধিতেই সাহায্য করে না, বরং আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কেও অবহিত করে। এ বিষয়ে গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজšে§র জন্য আরও নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করে রেখে যেতে আগ্রহী।’
গ্রামীণফোন ২০১৪ সাল থেকে শিশুদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেটবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে এই বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ অভিভাবকদের জন্য দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহার ও সচেতনতা-সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ‘একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও শিক্ষালাভের এক অনন্য মাধ্যম ইন্টারনেট। এর মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ ও তথ্য সংগ্রহের অপরিসীম সুযোগ রয়েছে। গ্রামীণফোনের সঙ্গে আমাদের এই সহযোগিতা ডিজিটাল পরিসীমায় সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বয়সভেদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি করা উচিত।’
চার লাখ শিশুর ক্ষমতায়নে চাইল্ড অনলাইন সেফটি
