Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 3:59 pm

চার লেন সড়কে বদলে গেছে ঠাকুরগাঁও

শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও: ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে এসে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৩৩টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে ঠাকুরগাঁও পৌরশহরে চারলেন রাস্তা ও আন্তঃনগর ট্রেন চালু, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণসহ অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জনসাধারণ।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঠাকুরগাঁও পুরোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে ঠাকুরগাঁও রোড পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ হয়েছে। সড়কটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। শেষ হয় ২০১৯ সালের জুলাইয়ে। ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্যমতে, সড়কটি নির্মাণে ৫৬ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৫ টাকা বাজেট ধরা হয়। এটি নির্মাণ করেন দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কনকর্ড প্রগতি কনসার্ট লিমিটেড ও মনিকো লিমিটেড।

সড়কের মধ্যে দুটি নতুন ব্রিজ নির্মিত হয়। এর একটি হয় টাঙ্গন ব্রিজ এবং অপরটি হয় শুক ব্রিজ। টাঙন ব্রিজটি লম্বায় ১২১ দশমিক ৭১ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। আর শুক ব্রিজটি লম্বায় ৫০ দশমিক ৮৭৫ মিটার, এর প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। সড়কের মাঝখানে পথচারী পারাপার ডিভাইডার রয়েছে। ডিভাইডারের মাঝামাঝিতে রয়েছে সড়ক বাতি।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী মো. মনছুরুল আজিজ বলেন, সড়কটি চার লেনে উন্নীত হওয়ায় দুর্ঘটনা কমে যাবে। যানবাহন চলাচলে সুবিধা হবে।

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বাসিন্দা দুলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের ঠাকুরগাঁও কি সুন্দর দেখাচ্ছে! সড়কটি দেখলে মন জুড়িয়ে যায়।’

অটোরিকশাচালক মো. আতাবর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগেও এ সড়কে যানবাহনের কারণে প্রায় যানজট লেগে থাকত। সড়কটি ছোট। এছাড়া জনাকীর্ণ থাকার কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত। সেই অবস্থা আর নেই। এখন আমাদের ঠাকুরগাঁও শহরকে দেখলে ঢাকা শহরের মতো মনে হয়। চার লেন সড়ক ও ব্রিজ হওয়ায় তেমন যানজট নেই। সড়ক দুর্ঘটনাও অনেক কমে গেছে। রাস্তায় নির্বিঘেœ বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেল চলাচল করছে।

সদর উপজেলার স্বপন কুমার নামে একজন প্রবীণ শিক্ষক বলেন, ঠাকুরগাঁওকে এ বয়সে এত সুন্দরভাবে দেখতে পাব তা কখনও ভাবতে পারিনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌর শহরে যেমন চার লেন রাস্তা করেছেন তেমনি তিনি বিমানবন্দরটিও চালু করবেন আশা করি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যায় নির্মাণ, আইটি পার্ক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত অঞ্চল ও ইপিজেড নির্মাণ করা হলে ঠাকুরগাঁওবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইসী বলেন, বর্তমানে সরকারের আমলে জেলায় অনেক রাস্তঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। এতে বদলে গেছে ঠাকুরগাঁও জেলা শহর। এর সুফল ঠাকুরগাঁওয়ের জনগণ ভোগ করছেন। আশাকরি অন্যসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।