প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা সরকারি আনন্দমোহন কলেজের হলগুলো চার শর্তে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আজ (৬ ডিসেম্বর) সোমবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আমান উল্লাহ’র স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ধ থাকা হোস্টেলসমূহ কলেজ আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও হোস্টেল স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শর্তসাপেক্ষে আগামীকাল (৭ ডিসেম্বর) যথারীতি খুলে দেয়া হবে।
শর্ত গুলোতে বলা হয়েছে- ১।কেবলমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরাই হোস্টেলে অবস্থান করতে পারবে।৷ ২। রাত ৮ টার পর ছাত্রীনিবাস এবং রাত ১০ টার পর ছাত্রাবাসসমূহের গেইট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৩। হোস্টেল সমূহ কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে থাকবে বিধায় সকল শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড / সিট বরাদ্দের রশিদ সঙ্গে রাখতে হবে। ৪। সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আমান উল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণদ্বন্দ্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজের সব হোস্টেল বন্ধের নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর গতকাল রোববার কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে আজ সোমবার সকাল থেকেই হোস্টেলগুলো ছাড়া শুরু করে হোস্টেলের ছাত্রীরা।
পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী, রোববার সকাল ৮টার মধ্যে ছাত্রীরা হোস্টেল ছাড়তে বাধ্য হন। এর আগে গত শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যান কলেজের ছাত্ররাও।
প্রসঙ্গগত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ১১ টা ৪৩ মিনিটে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগকে মহানগর ছাত্রলীগের ইউনিট থেকে জেলা ছাত্রলীগে অন্তর্ভূক্ত করে ছাত্রলীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি আপলোড করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে কলেজ গেইটের সামনে প্রতিবাদ করে। পরে ৪ ডিসেম্বর শনিবার সকালে আবারও কলেজ প্রাঙ্গনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করলে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের মতোও ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।