শেয়ার বিজ ডেস্ক : ডলারের বিনিময় মূল্য বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর নি¤œমুখী ধারায় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মূল্যবান এ ধাতুটির দর তৃতীয় দিনের মতো কমে চার সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছায়। ডলারের ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বাড়ার সম্ভাবনাও স্বর্ণের দর কমার অন্যতম কারণ। খবর রয়টার্স।
গত সোমবার স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৩১২ ডলার ৪১ সেন্টে। আগের দিনের তুলনায় এটি দশমিক চার শতাংশ কম। এদিকে লেনদেনের শুরুতে এ ধাতুটির দর ছিল এক হাজার ৩০৯ ডলার ৫১ সেন্ট। গত ১০ জানুয়ারির পর এটিই সবচেয়ে কম দর। তবে আগামী এপ্রিলে সরবরাহের চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণের দর প্রায় অপরিবর্তিত ছিল।
ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন মুদ্রার দাম যাচাই করা হয় আইসিই ডলার সূচকে। গত বুধবার এ সূচকে মার্কিন মুদ্রার মান গত তিন মাসের মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি ছিল। বৃহস্পতিবারও এটি ৯০ দশমিক ২৬৯-এ স্থির ছিল। এর এক সপ্তাহ আগে এ সূচকে ডলারের মান ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বনি¤œ অবস্থানে পৌঁছেছিল।
সাধারণত ডলারের মান যখন দুর্বল হয়ে ওঠে, তখন স্বর্ণসহ নির্ধারিত বিভিন্ন ধাতুতে বিনিয়োগ নিরাপদ বোধ করে বিনিয়োগকারীরা। ফলে ধাতুটির দাম বাড়ে। আর ডলার শক্ত অবস্থানে থাকলে স্বর্ণের দাম কমে।
তাছাড়া রাজনৈতিক বা আর্থিক কোনো অস্থিরতা দেখা দিলেও এই পণ্যটির দর বাড়ে। কারণ এ সময় এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে যায়। স্বর্ণকে তখন মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ ভাবে।
নি¤œমুখী থাকা ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়তে থাকায় স্বর্ণের দরে প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান ও মজুরি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে, যা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার আরেক দফা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
স্বর্ণের পাশাপাশি এদিন অন্য ধাতুরও দাম কমেছে। মার্চে সরবরাহের চুক্তিতে গত বুধবার রুপার দাম কমেছে দুই দশমিক এক শতাংশ। এদিন পণ্যটির আউন্সপ্রতি ৩৪ দশমিক দুই সেন্ট কমে ১৬ দশমিক ২৩৮ ডলারে লেনদেন হয়। মার্চে সরবরাহের চুক্তিতে তামার দাম কমেছে তিন দশমিক দুই শতাংশ। এদিন পণ্যটি পাউন্ডপ্রতি তিন দশমিক শূন্য ৮৮ ডলারে লেনদেন হয়। এপ্রিলে সরবরাহের চুক্তিতে প্লাটিনামের দাম কমেছে এক দশমিক তিন শতাংশ। এদিন পণ্যটি আউন্সপ্রতি ৯৮১ দশমিক ৭০ ডলারে লেনদেন হয়। মার্চে সরবরাহের চুক্তিতে প্যালাডিয়ামের দাম কমেছে এক দশমিক আট শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির ৯৮৪ দশমিক ৫৫ ডলারে স্থির হয়। সমাপনী মূল্য বিবেচনায় পণ্যটির এ দাম গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকের পর থেকে সর্বনি¤œ।