নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে চালের দাম স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এসময় তিনি বলেন, চালের দাম নিয়ে কাজ করছি, মনিটরিং হচ্ছে এবং বেসরকারি আমদানিও খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আশা করি চালের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।আর কৃষকরা আমাদের প্রাণ, তারা যেভাবে উৎপাদন করছে আশা করি, খাদ্যের সংকট হবে না। ’
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দেশের খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি বা কোনো অভাব হবে কিনা জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের তো একটা প্ল্যান থাকবেই। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের মাটি উর্বর। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন মানুষ আর মাটি থাকলেই আমরা দেশ গড়তে পারব। আমাদের দেশে তিনবার ফসল উৎপাদন হয়, সেই দেশে খাদ্যের অভাব হবে সেটা আমরা মনে করি না। কারণ কৃষকরা আমাদের প্রাণ, তারা যেভাবে উৎপাদন করছে আমরা আশা করি, খাদ্যের সংকট হবে না। ’
তিনি বলেন, ‘যারা বেশি মানবতার কথা বলে তারা সারা বিশ্বকে মানবতার দিক দিয়ে কষ্টে ফেলে রেখেছেন। তাদেরই একটু মানবিক হওয়া উচিত। শুধু বাংলাদেশের জন্য না, গোটা বিশ্বের জন্য তাদের মানবিক হওয়া উচিত। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সারা বিশ্বকে বিপদে ফেলে, সেখান থেকে তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করি। তাহলেই সারা বিশ্ব শান্তিতে থাকবে। আমরাও শান্তিতে থাকব। ’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষ আসলেই কী ভালোভাবে ঈদ করতে পেরেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঈদের আনন্দটাই অন্য রকম আনন্দ। এটা একজন গরিব হলেও তারও কিন্তু উৎসবই। সেভাবে চিন্তা করলে সবার ঈদই ভালো হয়েছে। আমি যেটুকু খবর পেয়েছি বিশেষ করে যারা গ্রামাঞ্চলের লোক তাদের এলাকায় বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। কারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কষ্ট হয়েছে বিশেষ করে বন্যার্ত মানুষের, এ কষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের কষ্ট। এটাকে মেনে নিয়েই আমাদের ঈদ উৎসব উদযাপন করতে হয়। কারণ প্রকৃতির সঙ্গে খেলা আমাদের সবসময়ই খেলতে হয়। এটাকে মেনে নিয়ে আমাদের ঈদসহ সব উৎসব উদযাপন করতে হয়। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ভিশন ন্যায় নীতি এবং দুর্নীতিমুক্ত থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালনা করে আমরা শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছি। আমরা এটিকে আরও গতিশীল করে ধরে রাখতে চাই। আমার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই সে বিষয়ে সচেষ্ট আছে। ’