Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 12:18 am

চাল-কাঁচামরিচের দাম স্থিতিশীল ঝাঁঝ পেঁয়াজে  

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত কয়েক মাস ধরে নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চাপের মুখে ক্রেতারা। কখনও চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা, কখনও বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা। শুধু কাঁচামরিচ বা চালে নয়, গত কয়েক মাসে দাম বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে চাল ও কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও তা এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। এদিকে দাম বেড়ে চলছে পেঁয়াজের।

হাতিরপুল, নিউমার্কেট ও আজিমপুর কাঁচাবাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নি¤œ আয়ের মানুষের মোটা চালও কিনতে হচ্ছে পঞ্চাশের কোটায়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়, ঢেঁড়শ ৫৫-৬০ টাকায়, বেগুন ৭০-৮০ টাকায়, পটোল ৫৫-৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, বরবটি ৭৫-৮০ টাকা, গাজর ৫৫-৬০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, চিচিঙা ৫৫-৬০ টাকা, শিম ১৬০-২০০ টাকা, শসা ৪৫-৫০ টাকা ও আলু ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ও জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা (আকারভেদে)। তবে বাজারভেদে এ সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমবেশি রয়েছে।

জানা গেছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে সবজির বাজারে দাম বেশি। রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, আমরাও চাই সবজির দাম কম থাক। বেশি দামে বিক্রি করেও আমাদের লাভ বেশি হচ্ছে না। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে বলে দামও বেশি। আজিমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মানিক মিয়া বলেন, ‘সবজির দাম এভাবে বাড়তিই থাকবে। মনে হচ্ছে না শীতের আগে দাম কমবে না। শীতকালে নতুন সবজি এলে বাজার স্বাভাবিক হবে।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপণ্য চালের দামের কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তবে এ পরিবর্তন বাজার স্বাভাবিক হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজার অনুযায়ী, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। আর কেজিতে নাজিরশাইল ৬৭ টাকা, বিআর-২৮ ৫০, স্বর্ণা ও পারি চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা করে।

হাতিরপুল বাজারের চাল বিক্রেতা সোলায়মান মিয়া জানান, গেল দুই সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা করে কমেছে। এ থেকে কমার আর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এদিকে মাছবাজারে বড় চিংড়ি ৭০০, মাঝারি ৬৫০ ও ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কাতল মাছ ১৮০ টাকায়। এছাড়া রূপচাঁদা ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, বোয়াল ২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দামও। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসি প্রতি কেজি ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি মুরগি সাইজ অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস। শুক্রবার ঢাকার বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর দেশীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা ছিল। এছাড়া দেশি রসুন ৮০, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা এবং আমদানি করা আদা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ এবং আমদানি করা ডাল ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।