নিজস্ব প্রতিবেদক: চাহিদা অনুযায়ী চিনি আমদানি করা হচ্ছে, সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাজার তদারকি করলেই চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন।
দেশের চিনির বাজার হঠাৎ করেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। পাইকারি বাজারে এখন টাকা দিয়েও মিলছে না চিনি। চাহিদার অনুপাতে জোগান কম হওয়ায় চরম সংকট তৈরি হয়েছে চিনির সরবরাহ চেইনে। এতে হু-হু করে বাড়ছে অন্যতম এ ভোগ্যণ্যের দাম। ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ চিনিতে দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, দেশে চাহিদা অনুযায়ী চিনি আমদানি হচ্ছে। সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। গত বছরের মতোই চিনি আমদানি করা হচ্ছে। নতুন করে আরও এক লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। বাজার তদারকি করা হলেই চিনির বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বাংলা?দেশ ব্যাং?কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন, যার সিংহভাগই আমদানি করতে হয়।
রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ কিংবা তিন দিন আগের কেনা চিনি কিছু কিছু দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিতে। বাজার ও দোকানগুলোয় প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। এই দোকানগুলোয় এক সপ্তাহ আগেও চিনি বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে। আর প্যাকেটজাত চিনি ছিল ৯৫ টাকা কেজি।
গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি, বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।