মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: বিমা, মিউচুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন খাতের পর এবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বস্ত্র খাতের শেয়ারদর। বিনিয়োগকারীদের খাত বদলের পাশাপাশি দর কম থাকায় এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। ফলে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে এ খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। সম্প্রতি একটু একটু করে দর বাড়ছে এসব শেয়ারের। গতকালও এর বিপরীত দেখা যায়নি।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি। অন্যান্য খাতের তুলনায় এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের চাহিদা বেশি দেখা যায়, যার জের ধরে বাড়তে থাকে বস্ত্র খাতের শেয়ারদর। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শেষ করে অধিকাংশ কোম্পানি। দিন শেষে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৫৬ প্রতিষ্ঠানের ১০টির শেয়ারদর কমে। মোট লেনদেনেও খাতটি সন্তোষজনক অবস্থানে থাকে।
গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেন এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১০ শতাংশ। শেয়ারদর বৃদ্ধির পাওয়ার কারণে অনেক বিনিয়োগকারী বিক্রয় আদেশ তুলে নেন। আগামীতে দর আরও বাড়বেÑএ ভাবনা থেকেই শেয়ার বিক্রির মত বদলান অনেক বিনিয়োগকারী। বিক্রয় চাপ থাকলে মোট লেনদেনে এ খাতের আরও বেশি অবদান থাকা সম্ভব ছিল।
এদিকে গতকাল বিমা খাতের শেয়ারের দরপতন হতে দেখা যায়। সকাল থেকেই ক্রেতার অভাব ছিল এ খাতটিতে। যে কারণে শুরু থেকেই দর কমতে থাকে। দিন শেষে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৪৮ কোম্পানির মধ্যে দর বাড়ে ৪৩টির। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই এ খাতের শেয়ারে বিক্রয় চাপ অব্যাহত ছিল। যে কারণে মোট লেনদেনে এগিয়ে ছিল খাতটি। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।
লেনদেনে পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংকিং খাত। আগের দিনগুলোর মতো গতকালও এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যায়। ফলে বাড়ে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ারদর। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় প্রায় ১৭ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট লেনদেনে অবদান ছিল ১৫ শতাংশ।
এদিকে প্রায় এক মাস পর গতকাল ডিএসইতে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতে দেখা যায়। দিন শেষে মোট এক হাজার ৩৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। বৃদ্ধি পায় সূচকও। গতকাল দিন শেষে ৩১ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ১২৬ পয়েন্টে স্থির হয় সূচক।