গতকাল শেয়ার বিজে প্রকাশিত ‘চায়ের আমেজে ভরপুর এক প্রদর্শনী’ শিরোনামের খবরটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকবে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে এটাই চায়ের প্রথম প্রদর্শনী। এখানে দেশের চা উৎপাদন ও বাজারজাতকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশ নিচ্ছে। চায়ের ইতিহাস নিয়ে হয়েছে আলোচনা। অনেকে দেশে চায়ের প্রথম দিককার ব্যবহার নিয়ে স্মৃতির অতল তলে হয়েছেন রোমাঞ্চিত।
সাধারণত চা পান ক্লান্তি দূর করে, কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রোগপ্রতিরোধেও কাজ করে। সবুজ চা কিডনি রোগে উপকারী ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া চায়ের লিকার দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাঢ়ি শক্ত করে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেকেই সবুজ চা পান করে থাকেন। শহর-বন্দরে আপ্যায়নে চা অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়েছে। দেশে চাহিদার প্রায় সমান চা উৎপাদন হচ্ছে। আমদানিও হচ্ছে। উন্নত মানের চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি এর কারণ মনে হয়। চা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কালক্রমে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এসেছে। তারা বাজারে সরবরাহ করছে উন্নত মানের চা। উন্নত মানের চা উৎপাদন করে রফতানিও বাড়ানো যেতে পারে।
দেশে চায়ের চাষ বাড়ছে। আগে শুধু পাহাড়ি এলাকায় চাষ হলেও এখন সমতল ভূমিতেও হচ্ছে। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে একাধিক কোম্পানি চা চাষ করছে। উপযোগী অন্য জেলাগুলোতেও এর চাষ করা যেতে পারে। কোনো কোনো কোম্পানি অর্গানিক চা উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছে ব্যবসায়। অভিযোগ রয়েছে, চা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো দলবদ্ধভাবে এর শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করছে। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশও উন্নত নয়। দক্ষ শ্রমিকেরও অভাব রয়েছে। চা-শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে উৎপাদনশীলতা আরও বাড়ানো যেতে পারে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্টরা ভাবতে পারেন, যা এ শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চায়ের গুণগত মানের উন্নয়ন করতে হবে। বিদেশের উন্নত মানের চায়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এর বিকল্প নেই। সাধারণ ক্রেতারা বাজারে গুণগত মানের চা সম্পর্কে তেমন ধারণা
রাখেন না। এজন্য সংশ্লিষ্টরা মনিটরিং বাড়াতে পারেন, যাতে ক্রেতা প্রতারিত না হন। এছাড়া প্রতিবছর এর প্রদর্শনী করা
যেতে পারে, যাতে সব শ্রেণির মানুষ এসে মানসম্পন্ন চা সম্পর্কে জানতে পারেন।
Add Comment