শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাত্রায় চা-শিল্পের অবদান আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা-শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। খবর: বাসস।
তিনি ‘জাতীয় চা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গতকাল দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন। দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে তিনি চা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একসময় চা ছিল আমাদের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। পরে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে চা রপ্তানি কমে গেলেও সরকার চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। সরকার ২০১৭ সালে চা শিল্পের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা-শিল্প’ অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া চা-শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাসস্থান, শৌচাগার ও নলক‚প স্থাপন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা, বাগানের নারী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে বৃহদায়তন চা-বাগানের পাশাপাশি সমতলেও চা চাষে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে।’
আবদুল হামিদ বলেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চা-শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা-বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে চা-শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত টি রিসার্চ স্টেশনে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি স্থাপনের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা বাগান পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অবকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের তারিখ ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় চা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।