শেয়ার বিজ ডেস্ক: এমআরএনএ কভিড-১৯ টিকা উদ্ভাবনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০২৩ সালে চিকিৎসা খাতে নোবেল পুরস্কার জয় করলেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান।
গতকাল সোমবার সুইডেনের নোবেল অ্যাসেম্বলি তাদের নাম ঘোষণা করে। কভিড-১৯ টিকা তৈরির ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম মেসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ। মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার কভিড টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তিতে টিকা তৈরিতে মৃত বা বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত জীবাণু ব্যবহার করা হয় না। ব্যবহার করা হয় এক ধরনের প্রোটিন, যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ক্যাটালিন ও উইসম্যানের উদ্ভাবনের ফলে ২০২০ সালের শেষের দিকে অত্যন্ত কার্যকর দুটি এমআরএনএভিত্তিক কভিড-১৯ টিকা উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছিল। এই টিকাগুলো বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এবং আরও অনেক লোকের গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করেছে।
চলতি বছর ২ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে নোবেল বিজয়ীদের নাম। আজ মঙ্গলবার পদার্থে, বুধবার রসায়নে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর বৃহস্পতিবার সাহিত্যে এবং শুক্রবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দু’দিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
চিকিৎসাশাস্ত্রে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন এই খাতে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল পেয়েছেন। এই নোবেলজয়ীদের মধ্যে ১২ জন নারী।
এই শাখায় নোবেলজয়ীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানীর নাম ফ্রেডরিখ জি. ব্যান্টিং। ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসার জন্য অতি জরুরি উপকরণ ইনসুলিনের আবিষ্কারের সুবাদে ১৯২৩ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে নোবেল পান ব্যান্টিং।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই শাখায় নোবেলজয়ীর নাম পিটন রাউস। দেহে টিউমার সৃষ্টিকারী ভাইরাস শনাক্তের সুবাদে ১৯৬৬ সালে যখন পিটন নোবেল পুরস্কার জয় করেন, সে সময় তার বয়স ছিল ৮৭ বছর।