শেয়ার বিজ ডেস্ক: অ্যান্টিবায়োটিক-মুক্ত মুরগির মাংস বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট চিক-ফিল-এ। তারা ২০১৪ সালের সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এলো। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মুরগিতে স্বল্প মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। খবর: রয়টার্স।
চিক-ফিল-এ তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে বলেছে, উচ্চমানের মুরগির সরবরাহ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে পরিবর্তনটি ২০২৪ সালের বসন্তে কার্যকর করা হবে। তবে ঠিক কবে থেকে তারা অ্যান্টিবায়োটিক নীতিতে পরিবর্তন আনছে তা পরিষ্কার করেনি।
চিক-ফিল-এ-এর মুখপাত্র ফক্স নিউজ ডিজিটালকে এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনা করে আমরা নীতিতে পরিবর্তন আনছি। উচ্চমানের মুরগির মাংস সরবরাহ করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা মূলত ভোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই।
ফুড চেইনটির অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে একটি বিজ্ঞপ্তি হিসেবে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো দেয়া হবে তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। এগুলো শুধু ‘মুরগি ও এগুলোর চারপাশের প্রাণীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে’ দেয়া হবে।
বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুরগির সরবরাহে ‘আমাদের কঠোর মানদণ্ড পূরণ করার’ চ্যালেঞ্জের কারণে নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মুরগির অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী টাইসন ফুডস (টিএসএনএন) গত গ্রীষ্মে ঘোষণা করে, তারা ২০১৭ সাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক-মুক্ত মুরগি সরবরাহ করলেও বর্তমানে সাপ্লাই চেইনে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
চিক-ফিল-এ-এর মতো অ্যান্টিবায়োটিক-মুক্ত প্রতিশ্রুতির প্রাথমিক গ্রহণকারী ছিল প্যানেরা ব্রেড। তারাও সম্প্রতি শূকরের মাংস ও টার্কি পণ্যগুলোয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার জন্য প্রাণী কল্যাণ নীতি পরিবর্তন করেছে।