পদ্মকে বলা হয় জলজ ফুলের রানি। এ ফুলের সৌন্দর্য বদলে দিয়েছে নাটোরের চিনিডাঙ্গা বিলের চিত্র।
নাটোরের দর্শনীয় স্থানের নাম এলেই মনে ওঠে রানি ভবানীর রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবনের কথা। এসব স্থানের পাশাপাশি বিলের জন্যও যে এলাকাটি বিখ্যাতÑতা কারও অজানা নয়। বড়াইগ্রামের চিনিডাঙ্গা বিল ভ্রমণে অন্যরকম মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে। বিলের আশেপাশের সবুজ প্রান্তর ও নয়নাভিরাম গ্রামীণ দৃশ্য মনে আনে প্রশান্তি। এখানে বাতাসে বিচরণ করে ফুলের ঘ্রাণ। চিনিডাঙ্গার এই পদ্মবিলে সকালের দিকে ফোটা পদ্ম তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এই পদ্ম তার আপন সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিল বিলটি। এখানে যে শুধু পদ্ম ফোটে তা নয়, শাপলাও ফোটে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন কেউ ফুলের বিছানা বিছিয়েছে। সঙ্গত কারণে এমন অপরূপ দৃশ্যই ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দিচ্ছে। শুধু ফুলের কারণেই চিনিডাঙ্গা বিলটি পরিচিত হয়ে উঠছে। ফলে ইতোমধ্যে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থী।
এখানকার মানুষ অতিথিপরায়ণ। ঘুরে দেখতে চাইলে জেলেপল্লির ডিঙি নৌকায় চড়ে বিলটি দেখতে পারবেন। ঘুরতে পারবেন। সারা বেলা ঘুরে নৌকার ভাড়া মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
চিনিডাঙ্গার পদ্মবিল নাটোর জেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। এ বিল ছাড়াও নাটোরে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বিল ‘চলনবিল’। এখানেও নৌকায় চড়ে উপভোগ করতে পারবেন পদ্ম ফুলের এমন মোহনীয় সৌন্দর্য। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে অন্তরালে থাকা চিনিডাঙ্গা বিলের সৌন্দর্যও বিকশিত হয়ে উঠতে পারে পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে।
কীভাবে যাবেন
রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে সড়কপথে নাটোরে আসতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৩৭০ থেকে ৭০০ টাকা। এছাড়া কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন তিনটি ট্রেন চলাচল করে। নাটোর শহরে এসে অটোরিকশায় করে বড়াইগ্রাম উপজেলার চিনিডাঙ্গার বিল পর্যন্ত যেতে পারবেন ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
তাপস কুমার, নাটোর