Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 7:05 pm

চিনির বিকল্প স্টেভিয়া চাষ ঠাকুরগাঁওয়ে

মো. শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে চিনির বিকল্প হিসেবে চাষ হচ্ছে স্টেভিয়া। জেলার সদর উপজেলার পারপূগী গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ ‘স্টেভিয়া’। স্টেভিয়া চাষে সহায়তা করছে বাংলাদেশ সুগার ক্রপস গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ঠাকুরগাঁও সুগার ক্রপস গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার শিবগঞ্জ পারপূগী গ্রামে দুই একর জমিতে ও পীরগঞ্জে দুই একর জমিতে স্টেভিয়া চাষ হচ্ছে।

জানা গেছে, গত বছর পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্যের পর কৃষকপর্যায়ে স্টেভিয়া চাষ ছড়িয়ে দিতে চারা উৎপাদন শুরু করে গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রশিক্ষণও দেয়া হয় কৃষকদের। কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্টেভিয়া চাষে। বায়ো-টেকনোলজি গবেষণা কেন্দ্রে স্টেভিয়া গাছের বংশবিস্তার ও গুণাগুণ যাচাই করেন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। এর আগে ২০০১ সালে থাইল্যান্ড থেকে গাছ সংগ্রহ করা হয়। দেশের জলবায়ুর সঙ্গে সহনশীল করে তুলতে ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রে এ উদ্ভিদ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালায় প্রতিষ্ঠানটি। পরে এর চাষ নিয়ে কৃষক পর্যায়ে দেয়া হয় প্রশিক্ষণ। ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি বছর কৃষক পর্যায়ে চাষ শুরু হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সুগার ক্রপস গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, স্টেভিয়া গাছের পাতা মিষ্টি। সবচেয়ে মিষ্টির নির্যাস। স্টেভিয়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। যেমন ডায়াবেটিস ও হƒদরোগসহ বিভিন্ন রোগ উপশম করে। স্টেভিয়া চাষ করে হেক্টরপ্রতি বর্তমানে অন্য জেলায় ১৫০০ থেকে ২০০০ কেজি উৎপন্ন হচ্ছে। প্রতি কেজি পাতার দাম ৫০০০ টাকার বেশি। স্টেভিয়া পাতা থেকে মিষ্টিসহ বিভিন্ন মিষ্টি জাতীর খাবার প্রস্তুত করা যায়, যা থেকে বছরে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা আয় করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্টেভিয়া চাষের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।