চিন্তামুক্ত সাকিব

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: আচরণবিধি ভাঙার দায়ে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। সবার মতো এ আশঙ্কাটা ছিল সাকিব আল হাসানেরও। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। শুধু ম্যাচে ২৫ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। একই শাস্তি পেতে হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকেও।

বড় ধরনের শাস্তির মুখে না পড়ায় ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের আগে চিন্তামুক্ত সাকিব। গতকাল সকালে টাইগার টি-টোয়োন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক আর নুরুল দুজনেই ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের শাস্তি মেনে নেন, যে কারণে কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। গত পরশুর ঘটনায় ম্যাচ রেফারি আশা করে বলেন, ঘটনাটি ছিল হতাশাজনক। কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের এই ধরনের আচরণ কাম্য নয়। যদি চতুর্থ আম্পায়ার সাকিব ও তীব্র প্রতিবাদ করা ফিল্ডারদের না থামাতেন আর মাঠের আম্পায়াররা নুরুল ও থিসারার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।

ক্রিকেটে ডিমেরিট পয়েন্ট চালু হয় ২০১৬ সালে। এরপর সাকিব ও নুরুল দুজনই পেলেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

নিদাহাস ট্রফির অলিখিত সেমিফাইনালের ম্যাচের শেষ ওভার। বাংলাদেশের জিততে তখন দরকার ৬ বলে ১২। স্ট্রাইকে মোস্তাফিজুর রহমান। বোলার উদানা। প্রথম বল থেকে রান নিতে পারেন কার্টার মাস্টার। পরের বলটি ছিল একই। বাউন্সার। কিন্তু আম্পায়ার ওয়াইড বা নো দেননি কোনোটায়। তবে প্রান্ত বদলে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। ফিজ পৌঁছাতে পারেননি না স্ট্রাইকে। তবে এ ম্যাচে ঝামেলা বাধে আম্পায়ার নো-ওয়াইয়েডের কোনো সংকেত না দেওয়ায়। তাই তো মাঠে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে আম্পায়ার ও খেলোয়াড়দের কথা কাটাকাটি হয়। অন্যদিকে সীমানার বাইরে থেকে তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিব করেন অসদাচরণ। একপর্যায়ে এ বাঁহাতি মাহমুদউল্লাহ রুবেলকে মাঠ থেকে উঠে আসতে বলেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ দলের বেঞ্চে থাকা নুরুল হাসানও লঙ্কানদের বেশ কজনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরেরার দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। শেষ পর্যন্ত সবার মধ্যস্থতায় আবার বল গড়ায় ২২ গজে। মাহমুদউল্লাহ এবার আর তাকাননি পেছনে। চতুর্থ বলে চার ও পঞ্চম বলে দারুণ এক ছয়ে ম্যাচ জয়ের আনন্দে পুরো জাতিকেই দেন মাতিয়ে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০